ভিডিও ব্লগিং কি ভাবে শুরু করবেন
কন্টেন্ট ব্লগিং পরে ভিডিও ব্লগিং দ্বিতীয় স্থানে আছে। ভিডিও ব্লগিং করার জন্য জনপ্রিয় মাধ্যম ইউটিউব। বর্তমান সময়ে মানুষ গুগলের পরে ইউটিউবে বেশি সার্চ করে তথ্য খোঁজার জন্য। এবং দিন দিন ভিডিও ব্লগিং জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আমি চেষ্টা করব কি ভাবে ভিডিও ব্লগিং শুরু কারা যায় তার উপর গাইড লাইন দেওয়ার
- ভিডিও ব্লগিং শুরু করার আগে মাইন্ড সেটাপ করতে হবে অন্যের খারাপ মন্তব্য পড়ার জন্য। আপনি যত ভালো ব্লগ তৈরি করেন না কেন খারাপ মন্তব্য মানুষ করবেই।
- নিজের ফেস অন্যকে দেখানো জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। আপনি বিষয়টা যতটা সহজ মনে করছেন ঠিক তত টা সহজ নয়। কারন নিজের ফেস অন্য কে দেখানোর ক্ষেত্রে অনেক সাহস লাগে।
- আপনার পড়া প্রতিবেশীর খারাপ মন্তব্য শোনার জন্য তৈরি হতে হবে। ভিডিও ব্লগিং শুরু করার কিছু দিনের মধ্যে বাসা এবং প্রতিবেশীর নেগেটিভ কমেন্ট শেনার জন্য মানুষিক ভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে।
- জনপ্রিয়তা পাওয়ার পর তা ধরে রাখার পরিবেশ তৈরি করতে হবে। মিডিয়া এমন একটি জগত যার মাধ্যমে আপনি একদিনের মধ্যে শূণ্য হয়ে যেতে পারেন।
অ্যাফিলিয়েট ব্লগিং কিভাবে শুরু করবেন
ভিডিও ব্লগিং বিভাগ নির্বাচন
আপনি কি ভাবে ভিডিও ব্লগিং শুরু করতে চাচ্ছেন তা নির্বাচন করতে হবে। একটু বিস্তারিত বলা যাক
ইনফরমেটিভ ভিডিও ব্লগিংঃ আপনি একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলেন যার মাধ্যমে আপনি মানুষকে বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য প্রদান করে। এই ক্ষেত্রে আপনাকে কখনো ফেস দেখাতে হবে না। শুধু স্ক্রিন ভিডিও রেকর্ড করতে হবে।
ইনফরমেটিভ ভিডিও ব্লগিং করার জন্য প্রচুর তথ্য সংগ্রহ করতে হয়। প্রতিটি ব্লগ তৈরি করার জন্য দুই হতে তিন দিন পর্যন্ত সময় লাগে।
টিউটোরিয়াল ভিডিও গুলো কিন্তু ইনফরমেটিভ ব্লগের ক্যাটাগরির মধ্যে পরে।
যে সব ভিডিও ব্লগিং করার জন্য চেহারা দেখাতে হয়
- ফুড ব্লগিং
- স্টোর রিভিউ
- শর্ট নাটক
- প্রাঙ্ক ভিডিও
- ডেইলি ব্লগ
- ডোনেশন ভিডিও, ইত্যাদি
উপরে উল্লেখ করা প্রতিটি ভিডিও ব্লগিং করার জন্য আপনাকে চেহারা দেখাতে হবে।
ওকে, আমি মনে করলাম আপনি ভিডিও ব্লগিং তৈরি করার জন্য মানুসিক ভাবে প্রস্তুত। সুতরাং চলুন শুরু করা যাক আপনার ভিডিও ব্লগিং তৈরির ভ্রমন।
ভিডিও ব্লগিং করার জন্য বিষয় নির্বাচন
দুইটি কারনে মানুষ ইউটিউবে আসে এক নিজেকে ইন্টারটেইনমেন্ট করার জন্য দ্বিতীয় শেখার জন্য। শুধু ৪৫% মানুষ আসে ইউটিউবে কোন বিষয় শেখার জন্য, ৫৫% মানুষ আসে আনন্দ নেওয়ার জন্য।
সুতরাং আপনাকে এমন একটি টপিক নির্বাচন করতে হবে যা আপনার ব্লগিং ক্যারিয়ারে সহযোগিতা করবে।
চলুন আমি কিছু ভিডিও টপিক আলোচনা করি
ডেইলি ব্লগঃ খুব অবাক হলেও সত্যি, ডেইলি ব্লগ একটি জনপ্রিয় টপিক ভিডিও ব্লগিং করার জন্য। আপনার প্রতিদিনের চলা ফেরা ভিডিও করে ইউটিউবে আপলোড করলে দেখবেন মানুষ কোন এক অজানে কারনে দেখতেছে।
তবে ডেইলি ব্লগ তখনি চলে যখন আপনি ফ্যামিলি সদস্যকে ব্লগের মধ্যে জয়েন করাবেন।
ফুড ব্লগিংঃ ফুড ব্লগিং এক ধরনের ডেইলি ব্লগ। আপনার বাড়ির পাশের চায়ের দোকান, ফুচকার দোকান, মিষ্টির দোকান, সাধারন খাবার হোটেল ইত্যাদি রিভিউ ভিডিও তৈরি করতে পারবেন।
বি.দ্রঃ ভিডিও ব্লগারের জন্য ভাষার বৈচিত্র্য শেখাটা জরুরি। ভাষা শেখার জন্য বই পড়তে পারেন।
Prank Video: Google Trand গিয়ে সার্চ করলে দেখবেন প্রাঙ্ক ভিডিও সব সময় ট্রেন্ডে থাকে। আপনার ভিডিও তৈরির টপিক প্রাঙ্ক হলে বলতে পারেন তার সফল হওয়ার চান্স অনেক বেশি।
ইমোশোনাল ভিডিওঃ খুব তাড়াতাড়ি সাবস্ক্রাইবার বৃদ্ধি করার ভালো আইডিয়া ইমোশোনাল ভিডিও। Emotional Video তৈরি করার মাধ্যমে ভিডিও ব্লগ শুরু করতে পারেন।
ইউটিউবের ব্লগিং শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ
ভিডিও ক্যামরাঃ প্রথম দিকে ব্লগিং শুরু করার জন্য অনেক দামী ক্যামরা ক্রয় করার প্রয়োজন নেই। আপনি মোবাইল ফোন দিয়ে প্রথম দিকে কাজ শুরু করতে পারেন।
এডিটিং সফটওয়্যারঃ ভিডিও তৈরি করার পর, ভিডিও এডিটিং করাটা জরুরি। একটি ভালো সফটওয়্যার আপনার ভিডিও গ্রহন যোগ্যতা বৃদ্ধি করে।
অডিও রেকোডিং ডিভাইসঃ আপনার ভয়েস রেকর্ড ক্লিয়ার না হলে সেই ভিডিও মানুষ দেখবে না। যতটা সম্ভব ভয়েস রেকোড সুন্দর করতে হবে। আপনার ভয়েসের উপর ভিডিও ভিউ সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।
ব্লগিং বিষয়ে কমন কিছু প্রশ্ন উত্তর
ইউটিউবে ক্যারিয়ার শুরু করার জন্য ভিডিও টা একবার হলেও দেখুন
Click the above button to visit next page
You visited 1/10 pages