MYBdBlog

Online Earning, Blogging, Digital Marketing

সফল ব্লগার হওয়া যায় কিভাবে?

আপনি গড় হিসাব করলে দেখবেন প্রতিদিন বাংলা ভাষার উপর মিনিমাম ১০০ প্লাস বাংলা ব্লগ সাইট তৈরি হচ্ছে। কিন্তু বলতে পারবেন এদের মধ্যে কত জন ব্লগার সফল হতে পারবে। ১০০টি ব্লগ সাইটের মধ্যে অতিরিক্ত ১০ জন সফল হতে পারে। বাকি ৯০ জন ব্লগার সফল হতে পারে না। N.B: Blogging Beginners Tips একজন নতুন ব্লগারের জন্য খুবেই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি প্রথম থেকে সঠিক গাইড লাইন না পেলে সফল হওয়ার সম্ভবনা খুবেই কম।

আমি আজকে কিছু টপিক শেয়ার করব, যা একজন সফল ব্লগার হওয়ার জন্য আপনাকে সহযোগিতা করবে।

ব্লগিং সফলতার প্রথম সমস্যা

প্রথম সমস্যা হচ্ছে পরিকল্পনা। আপনি একটি ব্লগ সাইট তৈরি করবেন, যা থেকে আজীবন ইনকাম করবেন কিন্তু কোন পরিকল্পনা ছাড়া শুরু করে দিবেন এমনটা হতে পারে না। সফল হওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই নিদিষ্ট প্রসেসের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে।

চলুন পরিকল্পনার একটি লিষ্ট করি

  • ডোমেইন হোস্টিং
  • টপিক বাছাই
  • ব্লগ সাইট তৈরি
  • কিওয়ার্ড রিসার্স
  • ১০০টি কন্টেন্ট লেখার টাইটেল তৈরি করুন
  • সোশ্যাল একাউন্ট তৈরি
  • লক্ষ নির্ধারন করুন

ডোমেইন হোস্টিং কোম্পানি বাছাই

আপনি কোন কোম্পানি থেকে হোস্টিং ক্রয় করছেন তাদের সার্ভারের উপর নির্ভর করবে আপনার ওয়েবসাইটের স্প্রিড। হোস্টিং কোম্পানি প্রদানকৃত সার্ভিস উন্নত মানের হওয়াটা জরুরি।

সুতরাং যখন কোন ওয়েবসাইট বা ব্লগ সাইটের জন্য হোস্টিং ক্রয় করবেন তখন তার রিভিউ যাছাই করে নেওয়া ঠিক হবে। মানুষ সেই কোম্পানির সার্ভিস বিষয়ে মন্তব্য করছেন তার উপর নির্ভর করে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।

আপনি বাংলাদেশি কোন কোম্পানি থেকে ডোমেইন হোস্টিং ক্রয় করতে চাইলে WebHostbd বাছাই করতে পারেন। আমি ব্যক্তিগত ভাবে WebHostbd হোস্টিং এবং ডোমেইন সার্ভিস ব্যবহার করি।

বাংলাদেশের ডোমেইন হোস্টিং কোম্পানিঃ WebHostbd

ব্লগ লেখার জন্য বিষয় নির্বাচন

একটি ব্লগের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের টপিক কমন বিষয়। অনেক ব্লগার মনে করেন এতে করে ভিজিটর ইনগেজমেন্ট বৃদ্ধি পায় অথবা বেশি ট্রাফিক পাওয়া যায়। কিন্তু আমি আমার ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলছি এমনটা চিন্তা করাটা বোকামি।

কারন একজন ভিজিটর যে উদ্দেশ্য নিয়ে আপনার ব্লগে প্রবেশ করে তার উপর নির্ভর করে ভিজিটর কতক্ষন ব্লগে থাকবে।

ধরুন, আমি আপনার ব্লগে প্রবেশ করলাম “কিভাবে একজন সফল ব্লগার হওয়া যায়” এই টাইটেলের উপর বেইস করে। কিন্তু আপনি আমাকে রিলেটেড পোষ্টে সাজেস্ট করছেন কিভাবে ইউটিউব থেকে টাকা আয় করা যায়। এবার আপনি বলুন আমি কি সাজেস্ট করা পোষ্টটি পড়ব? অবশ্যই নয়।

সুতরাং রিলেটেড পোষ্ট হওয়া উচিত আমার বিষয় অনুযায়ি। যেমন কিভাবে ব্লগ পোষ্ট লিখতে হয়

আপনি যেকোন একটি বিষয়কে কভার করে ব্লগিং শুরু করুন। হ্যাঁ, যে বিষয় নিয়ে ব্লগিং করবেন তার রিলেটেড বিষয় গুলো কভার করতে পারেন। কিন্তু মূল উদ্দেশ্য থেকে কখনো বাইরে যাওয়া যাবে না।

ব্লগ সাইট তৈরি

বাংলায় একটা প্রবাদ আছে “প্রথমে দর্শন ধারী পরে গুন বিচারী” ব্লগের ডিজাইনের ক্ষেত্রে বাক্যটি সঠিক। একজন ভিজিটর ব্লগে প্রবেশ করার পর প্রথমে ব্লগের ডিজাইন, ইমেজ, গঠন ইত্যাদি বিষয়ের উপর লক্ষ করে যেটার উপর একাধারে ব্লগের ব্রান্ডিং নির্ভর করে।

ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইটে পুনরায় ফিরে আসবে কেন? ভিজিটর ফিরে আসার জন্য ডোমেইন নাম এবং ব্লগ ডিজাইন খুবেই গুরুত্ব বহন করে।

চেষ্টা করুন কোন প্রফেশনাল ব্লগ সাইট ডিজাইনার দিয়ে ব্লগ সাইট তৈরি করার। প্রফেশনাল ওয়ার্ডপ্রেস থিম কাস্টমাইজারই জানে, কিভাবে এসইও ফেন্ড্রলি ব্লগ কাস্টমাইজেশন করতে হয়।

মাত্র ৫০০০ হাজার টাকায় প্রফেশনাল ব্লগ সাইট

সুতরাং আমার সাজেশন হবে, আপনি ডিজাইন করতে পারলে ভালো যদি করতে না পারেন তাহলে প্রফেশনাল ওয়ার্ডপ্রেস ডিজাইনার দিয়ে ব্লগ সাইট তৈরি করিয়ে নিবেন।

কিওয়ার্ড রিসার্স

আপনি যে টপিক নিয়ে লিখবেন সেই টপিকের উপর কিওয়ার্ড রিসার্স করতে হবে। Keyword Research করে লেখার জন্য উপযুক্ত বিষয় গুলো খুঁজে নিতে হবে। ধরুন, আপনি বাংলায় একটি কন্টেন্ট লিখছেন কিভাবে অনলাইন থেকে সহজে আয় করা যায়

কিন্তু লেখার আগে আপনাকে চিন্তা করতে হবে, যে বিষয় নিয়ে লিখবেন তা গুগল সার্চ রেজাল্টে Rank করা সম্ভব কি! যদি গুগলে Rank করা সম্ভব না হয়, তাহলে লিখে কোনো লাভ নাই।

হ্যাঁ, একই কিওয়ার্ডকে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে উপস্থাপন করলে Rank করতে পারেন। তবে আপনার তা জানা থাকতে হবে কিভাবে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে উপস্থাপন করবেন।

কিওয়ার্ডরিসার্স করার উদ্দশ্য হল সঠিক লেখার টপিক খুজে বের করা, যা গুগল Rank করতে সহযোগিতা করবে।

বিষয়ের উপর টাইটেল তৈরি করতে হবে

আপনি যে বিষয় নিয়ে লিখতে চান তার উপর আগে থেকে টাইটেল তৈরি করে রাখুন। টাইটেল তৈরি করার জন্য যার দ্বারা কিওয়ার্ড রিসার্স করবেন তার থেকে টাইটেল তৈরি করে নিবেন।

টাইটেলের বিভিন্ন দিক থাকবে যা আপনার ওয়েবসাইটকে Rank করতে সহযোগিতা করবে। একই সাথে টাইটেল আপনার ওয়েবসাইটের সিপিসি রেট বৃদ্ধি করে। আসা করছি বিষয়টা বুঝতে পেরেছেন।

সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্টঃ আপনার ওয়েবসাইটের সাথে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্টের লিংক থাকাটা জরুরি। সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট গুলো আপনার ওয়েবসাইটের ব্রান্ডিং করার জন্য হেল্প করবে। সম্ভব হলে প্রতিটি পোষ্ট সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্টে শেয়ার করুন।

ফ্রি অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষন

ব্লগিং সফলতার জন্য লক্ষ নির্ধারন করুন

ব্লগিং এমন একটি পেশা যার জন্য ধৈর্য্য, খুবেই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি আজ ব্লগিং শুরু করলে এর ফলাফল পেতে সময় লাগেব মিনিমাম ৬ থেকে ৭ মাস।

আবার এমন হতে পারে ব্লগ থেকে আয় করা শুরু করলেন কিন্তু বেশি আয় করতে পারছেন না। বেশি বা পরিমান মত আয় করতে না পারার কারন হচ্ছে, সঠিক বিষয় নির্বাচন, এড ক্লিক, ট্রাফিক সোর্স, ইত্যাদি।

সঠিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার মাধ্যমে বাংলা ব্লগিং করে প্রতি মাসে ৫০০ থেকে ৭০০ ডলার পর্যন্ত আয় করা সম্ভব।

ব্লগিং সফলতার উপর আরও একটি বিষয় জড়িত তাহল বিনিয়োগ। আপনি যদি মনে করেন ফ্রি ব্লগিং করে প্রতি মাসে ৩০,০০০ থেকে ৫০,০০০ হাজার টাকা আয় করবেন। তাহলে, ভুল চিন্তা করতেছেন। আবার টাকা ইনভেস্ট করলেই হবে না, সঠিক ভাবে ইনভেস্ট করতে হবে।

  • পরিকল্পনা
  • বাস্তবায়ন
  • ধৈর্য্য
  • সফলতা

ধন্যবাদ

ভালো থাকবেন।

কোনো ধরনের সহযোগিতার প্রয়োজন হলে যোগাযোগ করুন।

Click the above button to visit next page

This div height required for enabling the sticky sidebar