ডিজিটাল মার্কেটিং কি? কেন, প্রকার, সুবিধা এবং ক্যারিয়ার।
ডিজিটাল মার্কেটিং, বর্তমানে মার্কেটিং জগতের ভিন্ন একটি মাধ্যম। ইন্টারনেট বা মিডিয়া ব্যবহার করে কোন পণ্য বা সেবার প্রচারনা করাকে ডিজিটাল মার্কেটিং বলা যেতে পারে।
যদিও টিভি বিজ্ঞাপন শুরু সাথে সাথে ডিজিটাল মার্কেটিং যুগের সূচনা হয়েছে।
প্রায় প্রতি বছর Digital Marketing করার জন্য বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরব হচ্ছে। এবং ডিজিটাল মার্কেটিং প্লাটফর্ম গুলো এর সুবিধা নিচ্ছি। তবে কিছু কিছু নতুন মার্কেটিং সিস্টেমের উদ্ভাবন হয়েছে।
যা একজন মানুষ ছারা অন্য কেউ করতে পারবে না। যদিও এই মার্কেটিং করার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে ডিজিটাল প্লাটফর্ম গুলো। দেখা যাবে একটা সময় টিভি মিডিয়ার যুগ শেষ হয়ে যাবে।
কারন, টিভি এড দখল করছেন বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল প্লাটফর্ম গুলো। সাথে সাথে মার্কেটিং করার পরিভাষা পরির্বতন হচ্ছে। এখন কোম্পানি গুলো চায় তাদের সেবা বা পণ্যের বিজ্ঞাপন তাদের কাছে শো করাতে যারা তাদের পণ্য নিতে চায়।
এবং বর্তমানে এটাই হচ্ছে। দিন দিন এআই প্রযুক্তির উন্নায়নের সাথে সাথে মার্কেটিং কারার ধারা পরির্বতন হচ্ছে।
একটা উদাহরন দেওয়া যাকঃ আমি গুগলে গিয়ে সার্চ করলাম “Best Quality Digital TV”। এবার আপনি লক্ষ করলে দেখবেন, ইন্টারনেট ব্রাউজ করার জন্য বিভিন্ন ওয়েবসাইট, ইউটিউব বা অন্য কোন মাধ্যমে যে বিজ্ঞাপন গুলো প্রচার করা হবে সেখানে প্রদর্শন হবে ভালো ডিজিটাল ভিটি।
ফ্রিল্যান্সিং কাজ কি? বর্তমানে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং কাজ সমূহ
আপনি যে ভালো ডিজিটাল টিভি খুঁজছেন এটা জানার জন্য এআই প্রযুক্ত ব্যবহার করা হয়। আপনার চাহিদা অনুযায়ি আপনাকে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করা হয়।
তাহলে চিন্তা করুন বিজ্ঞাপনের ধারা কত পরির্বতন হয়েছে। ডিজিটাল মার্কেটিং এমন একটি প্লাটফর্ম যার সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ, কোটি কোটি টাকার মালিক হওয়া সম্ভব এক রাতের মধ্যে।
ডিজিটাল মার্কেটিং কেন করা হয়?
সহজ উত্তর পণ্য বা সেবার প্রচার করার জন্য। যেমন টিভি বিজ্ঞাপন কেন ব্যবহার করা হয়, পণ্যের প্রচারের জন্য ঠিক তেমনি ডিজিটাল মার্কেটিং করা হয় প্রচারনার জন্য। এর সাথে অবশ্য আরও একটি বিষয় জড়িত তাহল কোন ডিজিটাল মাধ্যমকে পণ্যের প্রচারের জন্য কেন ব্যবহার করা হচ্ছে।
ডিজিটাল মাধ্যমে পণ্যের প্রচারের জন্য ব্যবহার করার বড় একটি কারন হল মানুষের ডিজিটাল প্লাটফর্মের ব্যবহার। অধুনিক যুগের কম সংখ্যক মানুষ টিভি দেখার সুযোগ পায়। বেশির ভাগ সময় গুগল, ফেসবুক, ইউটিউব ইত্যাদি মাধ্যম গুলো বেশি সময় ব্যয় করে। এটা একটা বড় কারন ডিজিটাল মাধ্যমে এড দেওয়ার।
ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার?
ডিজিটাল মার্কেটিং করার ক্ষেত্রে কোন প্রকার ভেদ হতে পারে না। ডিজিটাল মার্কেটিং একটি বিভাগ যার সীমার মধ্যে সকল কিছু সীমাবদ্ধ। সমস্ত পৃথিবী একটি মার্কেটিং প্লাটফর্ম হলে ডিজিটাল মার্কেটিং একটি দেশ। আর একটি দেশের মধ্যে হাজার হাজার অধ্যায় থাকতে পারে।
হ্যাঁ আমরা ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কিছু বিষয় আলোচনা করতে পারি। কিন্তু সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করা সম্ভব নয়। ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয় গুরুত্বপূর্ণ কিছু পার্ট নিয়ে আলোচনা করব।
ডিজিটাল মার্কেটিং কোন প্রকার ভেদ হয় না। হ্যা ডিজিটাল মার্কেটিং সঙ্গা হতে পারে। কোন পণ্য বা সেবাকে ডিজিটাল মাধ্যম বা প্লাটফর্ম ব্যবহার করে কোন পণ্যের প্রচার করাকে ডিজিটাল মার্কেটিং বলে। কিছু জনপ্রিয় উপায় আছে কোন পণ্য বা সেবাকে ডিজিটালি প্রমোট করার।
সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং: সব থেকে অল্প খরচের কোন পণ্য বা সেবার প্রচার করার জন্য সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং খুবেই জনপ্রিয়। ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটার, ইত্যাদি হল সোস্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম যার মাধ্যমে মানুষ তার সেবা বা পণ্যের প্রচার করে থাকে। সোস্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম গুলো ওপেন করলে দেখবেন বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপণ প্লাটফর্ম প্রদর্শন হচ্ছে।
সুতরাং আমরা বলতে পারি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা সোস্যাল মাধ্যম ব্যবহার করে কোন পণ্য বা সেবার প্রচার করাকে সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং।
ভিডিও মার্কেটিং: ভিডিও মার্কেটিং সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করার একটি অংশ। বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপনের স্টাইল হয়ে থাকে। যেমন ব্যানার, স্লাইডার, এনিমেটেড, ইত্যাদি। ভিডিও মার্কেটিং ডিজিটাল প্রচারের একটি মাধ্যম।
এসইও: সার্জ ইজ্ঞিন অপটিমাইজেশন। আপনি যখন অনলাইনে ব্যবসার করার উদ্দশ্য নিয়ে কোন ওয়েবসাইট তৈরি করবেন তখন সেই ওয়েবসাইটের জন্য এসইও করতে হয়। এসইও করার মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটকে গুগলের ১ থেকে ১০ রেজাল্টের মধ্যে নিয়ে আসতে পারলে ব্যবসা করতে পারবেন। কারন আমরা শুধু সেই ওয়েবসাইট গুলোতে প্রবেশ করে থাকি যা গুগলের প্রথম পেজে থাকে।
এসইও অনেক গুলো পার্ট আছে আপনি কোন পার্ট নিয়ে কাজ করবেন তা আপনাকে ভাবতে হবে। এমনটা নয় এসইও একটি মাত্র কাজ। এসইও মাধ্যে হাজার হাজার কাজ আছে।
মোবাইল মার্কেটিং: প্রায় ৮০% মানুষ মোবাইল ব্যবহার করে থাকে। তাই যে কোন পণ্য বা সেবার প্রচার করার জন্য প্রথম পছন্দ হয়ে থাকে মোবাইল মার্কেটিং। যে সকল মানুষ অ্যানড্রেয়েড ব্যবহার করে থাকে তার মধ্যে 100% মানুষ অ্যাপস ব্যবহার করে থাকে। যেহেতু আমরা অন্যের তৈরি করা অ্যাপস ব্যবহার করে থাকে সেহেতু সেই অ্যাপস তৈরি কারী প্রতিষ্টানটি এই সুযোগটি নিয়ে থাকে।
সুযোগ বলতে অ্যাপসের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রচার করে থাকে। এই কারনে আপনি দেখবেন যে কোন মোবাইল অ্যাপস ওপেন করার সাথে সাথে বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন দেখতে পাবেন।
এসএমএস মার্কেটিং: এসএমএস মার্কেটিং সাধারন লোকাল প্রচারের জন্য করা হয়। যেমন আমি বাংলাদেশে কোন পণ্য বা সেবা বিক্রয় করতে চাইলে এসএমএস মার্কেটিং করতে চাইবো।
ডিজিটাল মার্কেটিং, কী উদ্দশ্য নিয়ে করা হয়।
দেখুন দুইটি বিষয়কে কেন্দ্র করে ডিজিটাল মার্কেটিং করা হয়। প্রথম, পণ্য বিক্রয় করার উদ্দশ্য নিয়ে দুই, পণ্যের ব্রান্ডিং করার জন্য। যদি দুইটি ক্ষেত্রে মোটিভ একই।
তার পরেও এর কিছু বিবেচ্য বিষয় আছে। যেমন কিছু দিন আগে ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব, গুগল ইত্যাদি মাধ্যম গুলোকে ব্যবহার করে ফুড পান্ডা এতো বেশি বিজ্ঞাপন প্রচারের উদ্দশ্য কী! বলতে পারবেন। উদ্দশ্য একটাই তাহল ব্রান্ডিং।
ফুড পান্ডা চাচ্ছিল মানুষ জানুক তাদেরকে। তাদের বিক্রয় করার মূল উদ্দশ্য ছিল না। তাদের উদ্দশ্য নিজেদের ব্রান্ড প্রতিষ্টা করা। এবং এই একই উদ্দশ্য নিয়ে কাজ করেছিল দারাজ।
আপনাকে এখন কোন ই-কমার্স ওয়েবসাইটের কথা জিজ্ঞাসা করলে সর্ব প্রথম যার কথা মাথায় আসবে। টিভি মিডিয়া ব্যবহার করে ব্রান্ডিং করা যত কঠিন ডিজিটাল মিডিয়া ব্যবহার করে ব্রান্ডি করা তত সহজ। এবং তুলনা মূলক খরচ অনেক কম।
পণ্য বিক্রয় করা উদ্দশ্য নিয়ে
সাধারনত লোকাল ব্যবসায়ি বা নুতন উদ্যোক্তা পণ্যের বিক্রয় করার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং করে থাকে। কারন এদের বাজেট কম মার্কেটিং করার জন্য। সুতরাং এরা চায় বিজ্ঞাপন প্রচারের সাথে সাথে পণ্য বিক্রয় শুরু হয়। আর সমস্যা সৃষ্টি হয় এখানেই।
দুই দিন ফেসবুক বিজ্ঞাপন প্রচার করার পর তৃতীয় দিনে বন্ধ করে দেওয়া হয় তার পর বলা হয় ফেসবুক বিজ্ঞাপনে কাজ হয় না। অথচ দুই দিনে বিজ্ঞাপনের পিছনে খরচ করে মাত্র ২ ডলার
আসলে এভাবে সফল হওয়া সম্ভব নয়। আপনাকে মিনিমাম ৩০ দিন ফেসবুক বিজ্ঞাপন প্রচার করা উচিত। এবং সঠিক ভাবে প্রচার করতে হবে তাহলে সফলতা আসবে তাছারা নয়। সঠিক ভাবে পণ্যের প্রচার করার জন্য ডিজিটাল মার্কেটার তৈরি হচ্ছে।
ফ্রি অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং কোর্স
ফেসবুক মার্কেটিং
বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ৪ কোটি মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করে। একবার চিন্তা করুন কত বড় মার্কেট প্লেস ফেসবুক। এই মার্কেটকে সঠিক ভাবে কাজে লাগাতে পারলে আপনি কোটি টাকা মালিক হয়ে যেতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে জানতে হবে কিভাবে ফেসবুক মার্কেটিং করতে হয়।
ফেসবুক মার্কেটিং করার জন্য আপনাকে যা যা করতে হবে।
ফেসবুক বিজ্ঞাপন একাউন্টঃ অব্যশই আপনার একটি Facebook Ad Manager Account থাকতে হবে। শুধু ফেসবুক বিজ্ঞাপন একাউন্ট দিয়ে যে এড পাবলিশ করা যাবে তা কিন্তু নয়। আপনি সাধারন ফেসবুক একাউন্ট দিয়ে বিজ্ঞাপন প্রচার করতে পারবেন। তাবে সঠিক ভাবে এড প্রচারের জন্য ফেসবুক এড ম্যানেজার একাউন্ট উপযুক্ত মাধ্যম। নিচে ইমেজটা দেখুন…
ফেসবুক বিজ্ঞাপন তৈরি এবং প্রচারঃ প্রফেশনাল ফেসবুক এড পাবলিশ করার জন্য ফেসবুক এড ম্যানেজার ব্যবহার করতে হবে। আপনার পণ্যের ধরন অনুযায়ি এড তৈরি করা যায়। চার ধরনের ফেসবুক এড Image Ads, Video ads, Carousel ads, Collection ads। আপনার চাহিদা অনুসারে বিজ্ঞাপন প্রচার করা শুরু করতে পারবেন।
ইমেইল মার্কেটিং
ডিজিটাল মার্কেটিং করার জনপ্রিয় একটি পার্ট ইমেইল মার্কেটিং। যদিও এশিয়া মহাদেশে ইমেইল মার্কেটিং তত বেশি ইফেক্ট তৈরি করে না। ইউরোপ মহাদেশে ইমেইল মার্কেটিং যথেস্ট প্রভাব বিস্তার করে আসছে শুরু থেকে।
যা হোক ইমেইল মার্কেটিং হল ডিজিটাল মার্কেটিং করার একটি পার্ট। তবে এখানে অনেক বিষয় আছে। যেমন কোন ব্যাবসায়িক উদ্দশ্য নিয়ে ইমেইল মার্কেটিং করতে চাইলে সফটওয়্যার লাগবে। সফটওয়্যার বা তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে ইমেইল মার্কেটিং করা সম্ভব।
শুধু ব্যবসায়িক উদ্দশ্য নিয়ে ইমেইল মার্কেটিং করা হয় তা কিন্তু নয়। মাঝে মাঝে কাস্টমার ফিডব্যাক, সার্ভে, তথ্য সংগ্রহ, ইত্যাদি উদ্দশ্য নিয়ে ইমেইল মার্কেটিং করা হয়।
ইমেইল মার্কেটিং প্লাটফর্ম
- Constant Contact: আপনার ছোট ব্যবসা থাকলে constant contact ব্যবহার করতে পারেন। ছোট ব্যবসার ইমেইল মার্কেটিং করার জন্য বেষ্ট অপশন।
- Send in Blue: একই সাথে ইমেইল এবং এসএমএস মার্কেটিং করার জন্য Send in Blue।
- Drip: ই-কমার্স ব্যবসার জন্য ইমেইল মার্কেটিং করতে চাইলে Drip উপযুক্ত প্লাটফর্ম হবে আপনার জন্য।
ইমেইল মার্কেটিং করার জন্য তেমন কোন যোগ্যতা লাগে না। আপনি ওয়েবসাইট ব্রাউজ করতে পারলে ইমেইল মার্কেটিং করতে পারবেন। এর জন্য আলদা করে আপনাকে কোন ধরনের কোর্স করতে হবে না।
PPC মার্কেটিং
PPC মার্কেটিং Digital Marketing করার জন্য উপযুক্ত প্লাটফম। পিপিসি মার্কেটিং করার জন্য অনেক কিছু জানতে হয়।
সঠিক ভাবে পিপিসি মার্কেটিং শেখার Google Skill Shop ব্যবহার করতে পারেন। গুগল এড বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য গুগলের থেকে ভালো কোন প্লাটফর্ম হতে পারে না। স্কিল শপ থেকে কোর্স শেষ করার পর সনদ নিতে পারবেন। অবশ্য সনদ নেওয়ার জন্য আপনাকে পরীক্ষা দিতে হতে পারে।
Content Marketing
আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি কন্টেন্ট মার্কেটিং ফাদার অফ ডিজিটাল মার্কেটিং আপনার অনলাইন ভিত্তিক ব্যবসাকে একটা পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কন্টেন্ট মার্কেটিং দীর্ঘ সময়ের জন্য ইমপেক্ট তৈরি করে।
এবং যত দিন অনলাইন ভিত্তিক ব্যবসা আছে তত দিন কন্টেন্ট মার্কেটিং থাকবে। কারন একমাত্র কন্টেন্ট মার্কেটিং পারে আপনার ব্যবসার উন্নায়ন সাধন করতে।
ভিডিও কন্টেন্টঃ
বর্তমান সময়ের জন্য ভিডিও কন্টেন্ট অনেক গুরুত্ব পূর্ণ একটি বিষয়। ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করার মধ্য দিয়ে নিজের এবং ব্যবসার ব্রান্ড তৈরি করা যায়।
একটা উদাহরন দেওয়া যাকঃ আমি কিছু দিন আগে দেখলাম একজন সফল ইউটুবার একটি কোর্স ওপেন করেছে কিভাবে ইউটিউব ভিডিও তৈরি করবেন তার মত করে।
অথবা ইউটুবে কিভাবে সফল হবেন ইত্যাদি বিষয় গুলো নিয়ে।আমি দেখলাম তার কোর্সের দাম ১৫,০০০ হাজার টাকা রেখেছে। আবার উল্লেখ করা আছে ১০০ জনের বেশি কোর্সটি ক্রয় করতে পারবে না।
এখন আপনি চিন্তা করুন, উনার ইউটিউব ক্যারিয়ার ৪ বছরের। এখন একটি কোর্স বিক্রয় করে উনি আয় করতে চাচ্ছেন প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা। এই বিষয়টা কিন্তু ভিডিও কন্টেন্ট মার্কেটিং মধ্যে পরে। কষ্ট করলে ডিজিটাল যুগে ক্যারিয়ার তৈরি করতে সময় লাগে না। শুধু চাই সঠিক পরিকল্পনা।
শুধু শুধু পরিশ্রম করলে কখনো সফল হতে পারবেন না। এখানে সব কিছু সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে হবে।
আর্টিকেল রাইটিং
ডিজিটাল মার্কেটিং করার জন্য আর্টিকেল রাইটিং একটি সফল পার্ট। অনেক অনলাইন কোম্পানি আছে যারা শুধু আর্টিকেল রাইটিং করার মাধ্যমে নিজের ব্যবসাকে উচ্চতর পর্যায়ে নিয়ে গিছে।
আমার এই লেখার কথাই ধরা যাক। আপনি এই লেখাটি পড়তেছেন কারন ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয় জানতে চান অথবা ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে চান। এখন আমি আপনাকে সাজেস্ট করলামএকটি ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স শেখার কোম্পানি।
আপনি সেই কোম্পানি গিয়ে কোর্স ক্রয় করলেন এর কারনে সেই কোম্পানি আমাকে একটি কমিশন দিবে। এই বিষয়টাকে আমরা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলে থাকি।
এই লেখার মাধ্যমে আপনার কাছে একটি কোর্স বিক্রয় করলাম, যা কন্টেন্ট মার্কেটিং করার একটি অংশ।
কিভাবে কন্টেন্ট মার্কেটিং করবেন?
নিদিষ্ট প্রসেস অনুসারে কন্টেন্ট মার্কেটিং করতে পারলে সফলতা আসবেই। চলুন দেখা যাক কন্টেন্ট মার্কেটিং করার প্রসেস।
কাস্টমার টার্গেট করুনঃ আমার একটি ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি আছে। যার মাধ্যমে আমি ডিজিটাল মার্কেটিং সেবা প্রদান করি। এখন আমার ওয়েবসাইটে ভিজিটর দরকার, কাজ পাওয়ার জন্য। কারন আমার ওয়েবসাইটে যদি ভিজিটর না আসে তাহলে কাস্টমার পাওয়ার কোন সম্ভবনা নেই।
কাস্টমার নিয়ে আসার জন্য আমাকে উপযুক্ত কন্টেন্ট লিখতে হবে। যা মানুষ গুগলে সার্চ দেয়। ধরলাম একজন সার্চ দিল ফেসবুক মার্কেটিং সার্ভিস এজেন্সি।
সুতরাং আমাকে এমন ভাবে কন্টেন্ট লিখতে হবে যেন কাস্টমার আমার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে। আসল কথা আমার ওয়েবসাইটকে গুগলের প্রথম পেজে নিয়ে আসতে হবে। অবশ্য কন্টেন্ট মাকের্টিং করার সাথে সাথে আপনাকে এসইও কাজ করতে হবে।
কন্টেন্ট ফরমেটঃ কন্টেন্ট ফরমেট বলতে কন্টেন্ট উপস্থাপন বোঝানো হচ্ছে। কিভাবে কন্টেন্ট উপস্থাপন করলে সব থেকে ভালো হবে তা বাছাই করতে হবে। এমন হতে পারে আপনার ব্যবসার জন্য আর্টিকেল থেকে ভিডিও কন্টেন্ট বেশি ইফেক্ট করবে। সুতরাং আপনাকে ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করতে হবে।
অথবা আপনাকে ইনফোগ্রাফি তৈরি করতে হতে পারে, নির্ভর করে ভিজিটরের উপর। আমি ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স বিক্রয় করতে চাচ্ছি। সেই ক্ষেত্রে আমাকে কোন ধরনের কন্টেন্ট তৈরি করা উচিত, অবশ্যই ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করতে হবে।
রাইট ফর কাস্টমারঃ আমি যখন কোন কান্টেন্ট লিখবেন তখন অবশ্যই আপনার ভিজিটরকে মাথায় রেখে লিখবেন। নিজের ব্যবসা বৃদ্ধি লক্ষে কন্টেন্ট লিখলে সফল হওয়া সম্ভব নয়। সুতরাং ভিজিটরের কথা মাথায় রেখে প্রতি কন্টেন্ট তৈরি করতে হবে।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
নিজের ব্রান্ডের প্রমোশনের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া বিশাল ইফেক্ট তৈরি করে। আপনি সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মকে দুই ভাবেই ব্যবহার করতে পারেন। শুধু টাকা দিয়ে মার্কেটিং করতে হবে বিষয়টা এমন কিন্তু নয়।
অনেক প্রতিষ্টান আছে যাদের একটি সুন্দর সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম আছে। যার মাধ্যমে তার তাদের প্রতিষ্টানের মার্কেটি করে থাকে।
সঠিক সোশ্যাল মিডিয়া বাছাইঃ প্রথম আপনাকে বাছাই করতে হবে সঠিক সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম। কারন সকল ব্যবসার জন্য সকল ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল ইফেক্ট তৈরি করে না।
আপনার ব্যবসার ক্যাটাগরির উপর নির্ভর করবে সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম। শুধু সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে একাউন্ট তৈরি করলেই হবে না। তার সাথে সাথে আপনাকে একটিভ থাকতে হবে।
প্রতিদিন যে কোন কন্টেন্ট পোষ্ট, ভিডিও, ছবি ইত্যাদি শেয়ার করতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে মার্কেটিং সফলতা পেতে চাইলে একটিভ থাকটা একান্ত প্রয়োজন।
বর্তমানে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া Marketing Platform গুলো
- Facebook: লোকাল এবং ক্ষুদ্র ব্যবসার পরিধি বিস্তারের জন্য ফেসবুক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
- Linkedin: ব্যবসায়িক প্রোফাইল এবং ব্যবসার গ্রহনযোগ্যতা বৃদ্ধি করার জন্য Linkedin উপযুক্ত প্লাটফর্ম। আবার অভিজ্ঞতা সম্পূর্ণ ওয়ার্কার হায়ার করার জন্য Linkedin সহযোগিতা করে।
- Instagram: influencer Marketing করার জন্য ইন্সটাগ্রাম যথাযথ মাধ্যম।
- Youtube: ব্যক্তির বা কোম্পানির ব্রান্ডিং করার জন্য ইউটুবের থেকে শক্তিশালী মাধ্যম হতে পারে না।
ডিজিটাল মার্কেটিং সুবিধা কি কি?
- অল্প বিনিয়োগ করে সফল ভাবে মার্কেটিং করা সম্ভব।
- কাস্টমার টারর্গেট করে মার্কেটিং করা যায়। যা অন্য কোন মার্কেটিং করার ক্ষেত্রে সম্ভব নয়।
- সঠিক ভাবে মার্কেটিং করার মাধ্যমে অনেক বেশি বিক্রয় করা সম্ভব।
- ইচ্ছামত বিজ্ঞাপন পাবলিশ করা যায় এবং বন্ধ করা যায়।
- ডিজিটাল মার্কেটিং করার জন্য খুববেশি জ্ঞান থাকার প্রয়োজন পরে না।
- বিজ্ঞাপন বাজেট বৃদ্ধি বা কমানো যায়। বাজেট বৃদ্ধি বা কমানোর জন্য কোন ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয় না।
- মার্কেটিং করার জন্য অল্প টাকা বিনিয়োগ করার কারনে, পণ্য বা সেবার দাম বৃদ্ধি পায় না।
- ডিজিটাল মার্কেটিং করার মাধ্যমে সরাসরি কাস্টমারের কাছে বিজ্ঞাপন প্রচার করা যায়।
ডিজিটাল মার্কেটিং অসুবিধা
- ডিজিটাল এড প্রচার করার জন্য ডলার লাগে, যা সহজে পাওয়া যায় না।
- ১০০ ডলার বিজ্ঞাপনের জন্য খরচ করে এক টাকা লাভ হতে না পারে।
- নিজের বিজ্ঞাপন কে দেখবে, কোথায় দেখবে ইত্যাদি বিষয় গুলো ঠিক করে দেওয়া যায়। কিন্তু লাইফ বিজ্ঞাপন দেখার সুযোগ হবে না। যেমন আমি টিভি বিজ্ঞাপন দিলে নিজের বিজ্ঞাপন নিজে দেখতে পারব।
- ফেসবুক বিজ্ঞাপনের জন্য মিনিমাম প্রতিদিন ১ ডলার খরচ করতে হয়। যা একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ির জন্য সমস্যা।
- আবার কিছু কিছু এড আছে যার জন্য ডলার খরচ হবে কিন্তু লাভ নাও হতে পারে।
- কিছু কিছু ডিজিটাল মার্কেটিং করার জন্য অনেক বেশি জ্ঞান থাকা দরকার।
ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যারিয়ার
উচ্চা শিক্ষা শেষ করার পর আপনি কোন ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সিতে কাজ করতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স করতে হবে। এমন কোর্স করতে হবে যা আপনাকে সার্টিফিকেট দিবে।
সার্টিফিকেট থাকার কারনে সিভির সাথে এই অভিজ্ঞতা যোগ করতে পারবেন। যেহেতু সময়ের সাথে সাথে ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সির সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে সেহেতু মার্কেটিং জ্ঞান থাকাটা জরুরি।
এবং প্রায়ই চাকরির বিজ্ঞাপনে দেখবেন ডিজিটাল মার্কেটিং কথার বলা হয়। ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স করা থাকলে এই সেক্টরে আপনার ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন।
Udemy থেকে যে কোন ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স করে সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে পারেন।
Click the above button to visit next page
You visited 1/10 pages