অনলাইন আয় কি? এবং কিভাবে শুরু করবেন
তথ্য প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে মানুষের কাজ করার স্থান, পাত্র, কাল পরির্বতন হয়ে গেছে অনেক আগে থেকেই। এখন মানুষ যোজন যোজন দূরে থেকে চোখের নিমিষেই কথা বলতে পারে সহজে। সেই প্রযুক্তির ধারার অন্য একটি নতুন যুগের সূচনা হয়েছে অনলাইনে আয় করার মাধ্যমে।
সোস্যাল বুকমার্কিং ওয়েবসাইট থেকে ফ্রি আয়
অনলাইন আয় কি?
১৯৮৩ সালে সর্বপ্রথম অনলাইন জগতে প্রবেশ করে সারা বিশ্বের মানুষ। সেই সাথে সাথে পরির্বতন করে মানুষের আয় করার মাধ্যম। ইন্টারনেট ব্যবহার করে কোন কাজ করে আয় করাকে অনলাইন আয় বলে।
ভুল ধারনা
আমরা অনকেই মনে করি শুধু মাত্র ফ্রিল্যান্সিং করে অনলাইন থেকে আয় করা যায়। যা সম্পূর্ণ ভাবে ভুল পথে পরিচালনা করে থাকে। ফ্রিল্যান্সিং করে যে অর্থ আয় করবেন তার থেকে কয়েক শত গুন অর্থ বেশি আয় করতে পারবেন যদি অনলাইনে কোন প্রতিষ্টান প্রতিষ্টিত করতে পারেন। নিজেকে একটি জায়গায় প্রতিষ্টিত করার জন্য অনলাইনে ব্যবসা প্রতিষ্টান শুরু করাটা সময়ের দাবি মাত্র।
ক্রিয়েটিভ আইডিয়া প্রতিষ্টিত করার জন্য ইন্টারনেটের থেকে সুযোগ্য মাধ্যম হতেই পারে না।
গুগল বিজ্ঞাপন মনিটাইজেশন অনলাইন কাজ
কিছু সমস্যা
অনলাইন ভিত্তিক প্রতিষ্টান করার সব থেকে বড় সমস্যা হচ্ছে সময়। যে কোন ধরনের প্রতিষ্টান অনলাইনে প্রতিষ্টিত করার জন্য অনেক বেশি সময়ের দরকার হয়। যদিও বিভিন্ন কারনে সময়ের ব্যবধান অনেক কমে এসেছে।
সময়ের ব্যবধান কমিয়ে আনার জন্য প্রচুর অর্থ লাগে, যা অনেকেই ইনভেস্ট করতে চায় না। আইটি খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে পারলে এর ভবিষ্যৎ স্বার্নালী ধানের মত পরিপূর্ণ হয়ে যাবে। আইটি খাতের একটি মেজর কথা হল যা বিনিয়োগ করবেন তার তিন গুন চার গুন ফিরে পাবেন। এবং বেশির ভাগে ক্ষেত্রে সেটাই হয়ে আসছে।
অনলাইনে ই-কমার্স ব্যবসা শুরু গাইডলাইন
অনলাইন থেকে আয় করার জন্য নিজেকে যে ভাবে প্রস্তুত করবেন
সিদ্ধান্ত নিনঃ অনলাইনে আয় করার কথা চিন্তা করার পর সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সত্যিকি আপনি অনলাইন থেকে আয় করতে চান। কারন অনলাইন থেকে আয় করতে চাইলে করা যায় না তার জন্য প্রচুর ধৈর্য্য এবং সাধনার দরকার হয়।
কাজ নির্বাচন করুনঃ অনলাইনে থেকে আয় করতে চাওয়ার বড় চ্যালেঞ্জ কাজ নির্বাচন করা। আপনার মনে হবে কোন কাজটি শিখলে ভালো হবে এবং হবে না! তবে আমার ব্যক্তিগত মতামত হল যে কাজটি আপনি ভালো বাসেন বা আপনার ভালো লাগে এমন কাজ করা শুরু করুন।
অনলাইন কাজের বিভিন্ন কোর্স ক্রয় করার জন্য Udemy থেকে ঘুরে আসতে পারেন। অথবা ফ্রি কাজ শেখার জন্য Google Garage থেকে ঘুরে আসতে পারেন।
গাইডলাইনঃ কাজ শেখা শেষ হয়ে গেলে সঠিক গাইড লাইন খুবেই গুরুত্বপূর্ণ। কারন একজন নতুন ফ্রিল্যান্সারের জন্য অনেক কিছু শেখার আছে মাকের্ট প্লেস থেকে কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে। আপনি সঠিক ভাবে বায়ারদের সাথে কাজের ডিল করতে না পারলে কাজ পাবেন না।
ইউটিউব গাইডলাইনঃ কিছু ফ্রিল্যান্সার আছে যারা কোন উদ্দশ্য নিয়ে নয় বরং মানুষকে সহযোগিতা করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। আপনি ইউটিউবে একটু খুঁজলেই পাবেন একজন আদর্শ মেনটর। এই চ্যানেল গুলো মূলত নতুন ফ্রিল্যান্সারদের সঠিক গাইড লাইন প্রদান করার লক্ষ নিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
আমি একজন ইউটুবারকে রেফার করছি যার ভিডিও গুলো দেখলে অনলাইনে কাজ পাওয়ার গাইডলাইন পাবেন।
Youtube Channel: MOHAMMAD ZAHIDUR RAHMAN
সময়ঃ আপনি মনে করছেন কাজ শেখা শেষ হলেই হয়তো অনলাইন থেকে আয় করতে পারবেন, যা সম্পূর্ণ ভাবে ভুল ধারনা। কাজ শেখার পর মিনিমাম ৩ হতে ৪ মাস সময় দিতে হবে প্রথম কাজ পাওয়ার জন্য। কোন কোন ক্ষেত্রে এর থেকে বেশি সময় লাগতে পারে
শেষ কথা
মনে রাখবেন আপনি আজকে যে অবস্থায় আছেন তার পরির্বতন করতে চাইলে পরিশ্রম করতে হবে। আপনার সিদ্ধান্ত সঠিক হলে সফলতা আসবেই শুধু ধৈর্য্য ধরে লেগে থাকতে হবে। সাথে সাথে একটি বিষয় খেলায় রাখবেন স্মার্ট ওয়ার্ক। এমন ভাবে পরিশ্রম করবেন না যার ফল পাওয়াটা সমস্যা হয়ে যায়।
বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং কাজ
ধন্যবাদ আপনাকে, কষ্ঠ করে লেখাটা পড়ার জন্য। আপনার সফলতার শুভ উদয় হোক এমনটাই কামনা করি।
ভালো থাকবেন
Click the above button to visit next page
You visited 1/10 pages