ইন্সটাগ্রাম থেকে আয়ের বিভিন্ন মাধ্যম এবং উপায়
সমস্ত বিশ্বে ১ বিলিয়ন ইন্সটাগ্রাম ব্যাবহার কারী। বিশ্বে যত গুলো জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম আছে তাদের মধ্যে ইন্সটাগ্রাম একটি জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম। এবং এই কারনে ইন্সটাগ্রাম থেকে আয় করার অনেক উপায় তৈরি হয়েছে।
বর্তমানে ইন্সটাগ্রাম ব্যবহারকারী সংখ্যা United Sates, ইন্ডিয়া, এবং ব্রাজিল ১৪০ মিলিয়ন, ১২০ মিলিয়ন এবং ৯৫ মিলিয়ন। যত গুলো সোশ্যাল মিডিয়া প্লার্টফম আছে তার মধ্যে ইন্সটাগ্রাম হচ্ছে ফটো শেয়ারিয় ওয়েবসাইট এবং এই জন্য এর জনপ্রিয়তা বেশি।
ইন্সটাগ্রাম কোম্পানির পক্ষ থেকে কোন ধরনের আয়ের উপায় নেই। কিন্তু আপনি অন্য অনেক উপায়ে ইন্সটাগ্রাম থেকে আয় করতে পারবেন।
- কি ভাবে আপনার ইন্সটাগ্রাম প্রফাইলকে আয়ের জন্য প্রস্তুস করবেন
- ১. স্পনসার কন্টেন্ট তৈরি করার মাধ্যমে আয় করুন
- ২. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
- ৩. নিজের পণ্য বিক্রয় করে ইন্সটাগ্রাম থেকে আয় করুন।
- ৪. ছবি বিক্রয় করার মাধ্যমে ইন্সটাগ্রাম থেকে আয়
- ৫. পণ্য প্রমোশন করে ইন্সটাগ্রাম থেকে আয়ের উপায়
- কি ভাবে ব্রান্ড নির্বাচন করবেন?
কি ভাবে আপনার ইন্সটাগ্রাম প্রফাইলকে আয়ের জন্য প্রস্তুস করবেন
- ইন্সটাগ্রাম একাউন্ট তৈরি করার আগে টপিক নির্বাচন করুন।
- ফলোয়ার ট্রাস্ট তৈরি করার উপায় বা পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে।
- ব্রান্ড পার্টনার নির্বাচন করতে হবে।
- এবং দেশ ভিত্তিক এড প্রকাশের যে লিগাল নোটিশ আছে তা ফলো করতে হবে।
১. স্পনসার কন্টেন্ট তৈরি করার মাধ্যমে আয় করুন
যখন ইন্সটাগ্রাম থেকে আয়ের কথা আসে তখন প্রথমেই যা মাথায় আসে তাহল স্পনসার এড এর কথা। বর্তমানে ৫০০,০০০ থেকে বেশি নিয়মিত ইন্সটাগ্রাম Influencer আছে যারা বিভিন্ন মাধ্যমে কাজ করতেছে।
স্পনসার কন্টেন্ট পাওয়ার বিষয় জরুরি হল, আপনার পোষ্ট এনগেজমেন্ট মানে আপনি যখন একটি পোষ্ট করে তখন কত গুলো মানুষ আপনার পোষ্ট এ লাইক, কমেন্ট, এবং শেয়ার করে।
যে কোম্পানি গুলো আপনার পোস্ট স্পনসার করবে তার কিন্তু আপনার পোষ্টের মাধ্যমে সেল চায় না। তারা শুধু তাদের প্রডাক্টের ব্রান্ডিং করতে চায়। এ ক্ষেত্রে এটা জানা খুবেই গুরুত্বপূর্ন যে আপনি কোন ধরনের পোষ্ট করে থাকেন।
আপনার নিয়মিত পোষ্টের সাথে আমাদের ব্রান্ড কানেক্ট হলেও, কম্পানি আপনাকে বেশি স্পনসার করবে।
একজন কন্টেন্ট স্পনসার হওয়ার জন্য সাধারনত যে শর্তগুলো আপনাকে পালন করতে হবে।
- স্পনসার পাওয়ার জন্য আপনার প্রফাইলে মিনিমাম ফলোয়ার থাকাটা জরুরি। তবে কত গুলো ফলোয়ার হলে স্পনসার পাবেন এর কোন নিদিষ্ট সংখ্যা নেই।
- আপনি যে পোষ্ট করেন তার এনগেজমেন্ট কেমন তার উপর স্পনসারশীপ নির্ভর করে।
স্পনসার মার্কেট প্লেস
২. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
অ্যাফিলিয়েট, আপনি জেনে থাকবেন এই বিষয়টা নিয়ে। একজন ইন্সটাগ্রাম প্রভাবক খুব সহজে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হতে পারে। যদিও অনেক ক্ষেত্রে নির্ভর করে আপনার প্রফাইলের উপর। আপনার প্রফাইল এ শেয়ার করা প্রডাক্ট, সেবা ইত্যাদির ধরন এর উপর অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন।
কি ভাবে অ্যাফিলিয়েট করবেন? অ্যাফিলিয়েট করার জন্য আপনাকে একটা ইকমার্স ওয়েবসাইট নির্ধারন করতে হবে।
যারা আপনাকে অ্যাফিলিয়েট মাকের্টিং করার সুযোগ দিবে। তবে অ্যাফিলিয়েট মাকের্ট নির্ধারন করার জন্য আপনাকে সর্তক থাকতে হবে। কারন কিছু কিছু মাকের্টি প্লেস খুব ভালো কমিশনদেয় আবার কিছু কিছু মাকের্ট প্লেস তাদেয় না।
এবার আপনাকে যা করতে হবে, একটি অ্যাফিলিয়েট একাউন্ট তৈরি করতে হবে। একাউন্ট তৈরি করার পর ঐ ওয়েবসাইট এর পণ্য ক্রয় করে অথবা ছবি আপনার ইন্সটাগ্রাম একাউন্টে শেয়ার করতে হবে।
এবার কেউ আপনার দেওয়া পোষ্ট এ ক্লিক করে পণ্য ক্রয় করলে আপনি একটি কমিশন পাবেন।
৩. নিজের পণ্য বিক্রয় করে ইন্সটাগ্রাম থেকে আয় করুন।
ইন্সটাগ্রাম থেকে আয় করার একটি ভালো উপায় নিজের পণ্য বিক্রয় করা। আপনার বাসার হোম মেড পণ্য। অথবা আপনার প্রাকৃতিক ভাবে তৈরি পণ্য বিক্রয় করে আয় করতে পারবেন।
নিজের পণ্য বিক্রয় করতে চাইলে অবশ্যই হোম মেড পণ্য হওয়াটা জরুরি। কারন একমাত্র হোম মেড পণ্য আপনার অনুসারিদের কাছে একটা অণ্যরকম গ্রহণযোগ্যতা সৃষ্টি করবে।
আপনার তৈরিকৃত পণ্যের একটি ভিডিও করে ইন্সটাগ্রাম একাউন্ট এ আপলোড করতে পারেন। অথবা সম্পূর্ণ পণ্য তৈরি করার ছবি ধারন করে ইন্সটাগ্রামে আপলোড করার মাধ্যমে পণ্যের প্রচারনা করুন।
৪. ছবি বিক্রয় করার মাধ্যমে ইন্সটাগ্রাম থেকে আয়
আপনার তোল ছবির প্রমোশন করার জন্য ইন্সটাগ্রাম একটি সুবিধাজনক মাধ্যম। কারন, ইন্সটাগ্রাম নিজেও একটি ফটোশেয়ারিং ওয়েবসাইট হওয়ার জন্য, এখানে শেয়ার করা ফটো দেখতে অনেক সুন্দর হয়।
একটা উদাহরণ দেওয়া যাকঃ আপনি একজন প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার এবং স্টক ফটো ওয়েবসাইটে আপনার একটি একাউন্ট আছে। একই সাথে আপনার একটি সুন্দর ইন্সটাগ্রাম একাউন্ট আছে এবং আপনার তোলা কিছু ছবি ইন্সটাগ্রামে শেয়ার করেন এবং অন্যকে ছবি ক্রয় করার জন্য আগ্রহী করে তুলেন।
ইন্সটাগ্রামে আপনার ছবি শেয়ার করার জন্য আপনি দুই ভাবে লাভোবান হবেন। এক আপনার ছবি প্রচারণা হবে সাথে আপনার জন্য লোকাল কাস্টমার তৈরি হবে।
উপরে উল্লেখ করা ইন্সটাগ্রাম একাউন্টটি একজন ওয়েডিং ফটোগ্রাফার। এই ব্যাক্তি শুধু লোকাল নয় বর্তমানে ইন্টারন্যাশনাল ফটোগ্রাফি করে থাকে। এবং এই সফলতার পিছনে ইন্সটাগ্রামের একটি বড় ভূমিকা রয়েছে।
ফেসবুক থেকে অর্থ আয়ের বিভিন্ন উপায়
৫. পণ্য প্রমোশন করে ইন্সটাগ্রাম থেকে আয়ের উপায়
TRIBE একটি মোবাইল অ্যাপ যার মাধ্যমে আপনি ইন্সটাগ্রাম থেকে আয় করতে পারবেন। এই অ্যাপ এর মধ্যে যে ব্রান্ড এড প্রকাশের জন্য আগ্রহী সেই সকল ব্রান্ড এর প্রডাক্ট নিয়ে এড তৈরি করতে হবে। এবং সেই এডটি ব্রান্ডকে ট্যাগ করতে হবে। সাধারণত এড ট্যাগ করার 48 ঘন্টার মধ্যে পেমেন্ট পাওয়া যায়।
তবে এই অ্যাপের সকল Influencer একই ধরনের পেমেন্ট পায় না। পেমেন্ট নির্ভর করে ফলোয়ার এর উপর।
৬. Plughype এর মাধ্যমে আয় করুন
Plughype নতুন ইন্সটাগ্রাম Influencer জন্য একটি সুবিধাজনক প্লাটফর্ম। আপনি নতুন ইন্সটাগ্রাম Influencer হয়ে থাকলে এই ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে আয় শুরু করতে পারেন।
এই ওয়েবসাইট এর সুবিধা হল অনেক টপিক একই বিষয়ে। আপনার ইন্সটাগ্রাম প্রফাইল যাই হোক না কেন এই ওয়েবসাইট থেকে আয় করতে পারবেন।
৭. নিজের অনলাইন স্টোরের পণ্য বিক্রয়
আপনার একটি অনলাইন স্টোর আছে এবং একই সাথে আপনার ইন্সটাগ্রামে অনেক ফলোয়ার আছে। আপনি আপনার পণ্যের প্রচারনা নিজের ইন্সটাগ্রাম একাউন্টের মাধ্যমে করতে পারবেন।
আমি ব্যাক্তিগত ভাবে মনে করি নিজের ইন্সটাগ্রাম একাউন্টে অনেক ফলোয়ার থাকলে, অনলাইন ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
অথবা আপনি etsy, Shopify, Zazzle এর মাধ্যমে স্টোর ওপেন করে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। উক্ত প্রতিষ্টান গুলো ফ্রি অনলাইন স্টোর ওপেন করার জন্য আপনাকে সুযোগ করে দিবে। আপনি তাদের পণ্য প্রমোশন করার মাধ্যমে বিক্রয় করবেন। অথবা আপনি চাইলে নিজের পণ্য ক্রয় করে বিক্রয় করতে পারেন।
কি ভাবে ফেসবুক ব্যবহার করে আয় করবেন?
কি ভাবে ব্রান্ড নির্বাচন করবেন?
আপনি যে প্রডাক্ট প্রমোশন করতে চান তার বিষয়ে আপনার ভালোবাসা থাকা টা জরুরি। আপনার প্রডাক্ট এর বিষয় ভালোবাসা না থাকলে, আপনি সেই ব্রান্ড প্রমোশন করতে পারবেন না। তার মানে প্রমোশন করতে পারবেন, কিন্তু ভালো প্রভাবিত করতে পারবেন কি না এটাই বিষয়।
ব্রান্ড প্রমোশন করার আগে কম্পানি ডেলিগেট আপনার প্রফাইল ভালো করে দেখবে যে, আপনি কোন ধরনের পণ্য নিয়ে কথা বলেন। আপনার ব্রান্ডের লোকজন দেখেন যে আপনার প্রফাইর ফলোয়ার কেমন।
সুতরাং আপনার ব্রান্ড নির্বাচন করার জন্য আপনার পছন্দ অপছন্দকে প্রধান্য দিবেন। কারন আপনার বিষয় এর উপর নির্ভর ব্রান্ড আপনার সাথে যোগাযোগ করবে।
ও আর একটি বিষয়, কোন কিছু পোষ্ট করার আগে আপনাকে চিন্তা করতে হবে কোন ধরনের পোষ্ট আপনার ফলোয়ার পছন্দ করে।
আর্টিকেল লিখে আয় করবেন যে ভাবে
শেষ কথা, আপনি যে ভাবেই চাইবেন ইন্সটা একাউন্ট ব্যবহার করে আয় করতে পারবেন। যদি আপনার ভালো সংখ্যায় ফলোয়ার থাকে। কারন আপনার ইন্সটা ফলোয়ার এর উপর নির্ভর করবে আয়।