ফেসবুক বিজ্ঞাপন কপিরাইট করে আয় করুন।
ফেসবুক বিজ্ঞাপন কপিরাইট করে আয় করাটা সমায়ের দাবি। আপনি বেসিক কিছু দক্ষতা থাকলে হতে পারেন একজন ফেসবুক কপিরাইটার। আজকে এই আলোচনার মধ্যে ফেসবুক এড কপিরাইটার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব।
সোস্যাল বুকমার্কিং ওয়েবসাইট থেকে ফ্রি আয়
ধন্যবাদ, আলোচনায় অংশ গ্রহন করার জন্য। আমরা প্রথমে জানব ফেসবুক এড কপিরাইট কী? দ্বিতীয় জানব, কিভাবে নিজেকে একজন এড কপিরাইটার হিসাবে প্রতিষ্টিত করব? এড কপিরাইটার হওয়ার জন্য আমার কোন কোন দক্ষতা থাকতে হবে।
ফেসবুক এড কপিরাইটার কি?
ফেসবুকে ব্যবহার করে অনেক ভাবে আয় করা যায়। যেমন, ফেসবুক আর্টিকেল মনিটাইজেশন, ফেসবুক পেজ বিক্রয়, ফেসবুক লাইক বিক্রয়, ফেসবুকে পণ্য বিক্রয় করা সহ বিভিন্ন ভাবে আয় করা যায়। তেমনি ফেসবুকে এড কপিরাইট করে আয় করা সম্ভব।
ফেসবুক এড কপিরাইট হচ্ছে অন্যের বিজ্ঞাপনের হেড লাইন তৈরি করা, বর্ননা লেখা, ইত্যাদি। এখন আপনি চিন্তা করতে পারেন কাজটা খুব কঠিন নয়। আপনি যদি এমনটা ভাবেন তাহলে বলতে হবে চিন্তাটা সম্পূর্ণ ভাবে ভুল।
কারন, মানুষ যখন কোন বিজ্ঞাপনে ক্লিক করে তার আগে সেই বিজ্ঞাপনের বর্ননা পড়ে এবং বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এমনটা হয়ে থাকে। সুতরা আপনি যদি একজন প্রফেশনাল ফেসবুক এড কপিরাইটার হতে চান তাহলে আপনাকে জানতে হবে। কিভাবে কাস্টমারের উপস্থিতি বাড়ানো যায়।
ফেসবুকেরে লেখা মনিটাইজেশন করে আয় করার উপায়
বিজ্ঞাপন কপিরাইটারের দক্ষতা
কথার মাধ্যমে মানুষের সম্মতি নেওয়া খুব কঠিন কাজ। যেমন ধরুন, আমি ফেসবুকে একটি বিজ্ঞাপন দিলাম সাইকেল বিক্রয় করার জন্য। আপমি শুধু সাইকেলের ছবি এবং মূল্য দিয়েছে। এখন আপনি বলুন আপনি আমার বিজ্ঞাপনটি দেখার পর কি সাইকেলটা ক্রয় করতে চাইবেন। অব্যশই না………
এখন সেই একই বিজ্ঞাপন আমি বিস্তারিত বর্ননা আকারে প্রদান করি তাহলে। আপনি হয়তো আমার স্টোরে গিয়ে একবার ঘুরে আসতে পারেন। এমন হতে পারেন যে, আপনি পণ্যটি ক্রয় করলেন।
সুতরাং আপনার জনতে হবে কিভাবে মানুষকে কোন কিছু ক্রয় করার জন্য আগ্রহী করে তুলতে হয়।
আর একটি উদাহরন দেওয়া যাক, আমি এই ওয়েবসাইটটির একটি বিজ্ঞাপন দিলাম। যেখানে বিজ্ঞাপনের টাইটেলে লিখলাম “অনলাইন থেকে আয় করার বিভিন্ন উপায় এবং সাজেশন” তারপর ফেসবুকে পাবলিশ করলাম।
এবার আপনি চিন্তা করুন কত জন মানুষ আমার বিজ্ঞাপনে ক্লিক করবে। বেশি মানুষ আমার বিজ্ঞাপনে ক্লিক করবে না। কারন আমি শুধু একটি টাইটেল লিখে বিজ্ঞাপন প্রকাশ করেছি।
এখন আমি যদি বিস্তারিত লিখাতাম যেমন, ফেসবুক থেকে আয় করার ভিন্ন উপায়, ওয়েবসাইট রিভিউ করে আয় করার উপায়, বায়োডাটা রাইটিং করে আয় করার উপায়, তাহলে মানুষ পড়ারজন্য আগ্রহ প্রকাশ করত এবং আমার ওয়েবসাইটি ভিজিট করত।
কাজ কোথায় পাবেন
বিভিন্ন ধরনের ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট গুলোতে সাধারনত এই সকল কাজ পাওয়া যায়। বেশি কাজ পাওয়া যায় Fiverr ওয়েবসাইটে। আপনি প্রথমে কাজ শিখুন তারপর Fiverr ওয়েবসাইটে একাউন্ট তৈরি করে আয় করতে পারবেন।
মনে রাখবেন আপনি যদি প্রফেশনাল একজন ফেসবুক বিজ্ঞাপন কপিরাইটার হতে পারেন তাহলে আপনার চাহিদা অনেক।
একজন প্রফেশনাল কপিরাইটার প্রতিমাসে ৩০০ থেকে ৪০০ ডলার পর্যন্ত আয় করে থাকে।
বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট
আমি কিভাবে প্রফেশনাল কপিরাইট হতে পারি?
প্রফেশনাল বিজ্ঞাপন কপিরাইটার হওয়ার জন্য ইউটিউব থেকে ভিডিও দেখতে পারেন। বিজ্ঞাপনের বর্ননা কিভাবে লিখতে হয় ইত্যাদি জানার জন্য Google সার্চ দিতে পারেন।
আপনি গুগল এবং ইউটিউব থেকে যা কিছু শিখবেন তার জন্য একটি নোট তৈরি করবেন। এই নোট গুলো আপনার কাজে লাগবে যখন আপনি ব্যাস্তব ক্ষেত্রে কাজ করবেন।
ভাই বা বোন মনে রাখবেন শেখার কোন বিকল্প নাই। যত ছোট কাজেই হোক না কেন তার বিষয়ে বিস্তারিত না জেনে অনলাইনে কাজ করতে আসলে ব্যর্থ হবে।
আপনি চাইলে Udemy থেকে প্রফেশনাল কপিরাইটারে কোর্স করতে পারেন।
ধন্যবাদ
ভালো থাকবেন।
Click the above button to visit next page
You visited 1/10 pages