ফ্রিল্যান্সিং কাজ কি? ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি
বর্তমান বিশ্বে প্রায় মানুষ ফ্রিল্যান্সিং কাথাটির সাথে পরিচিত। আগে মানুষ বিশ্বাস না করলেও বর্তমানে মানুষ বিশ্বাস করে ঘরে বসে কম্পিউটারে কাজ করে আয় করা সম্ভব। ফ্রিল্যান্সিং মুক্ত পেশা, আপনি আপনার মত করে কন্ট্রাকে কাজ নিবেন এবং করবেন।
এখানে একটি বিষয় ক্লিয়ার হওয়া যাক। ফ্রিল্যান্সিং বা ফ্রিল্যান্সার যে শুধু অন্য লাইনে কাজ করে আয় করে তা কিন্তু নয়। চাকরি ব্যতিত যত গুলো কাজ আছে তার সকল কাজের মানুষ এক একজন ফ্রিল্যান্সার।
একজন দিন মজুর কিন্তু ফ্রিল্যান্সার। সে তার ইচ্ছামত কাজ করে এবং ইনকাম করে। সে যদি চায় যে আজকে কাজ করবে না তাহলে সে সেটা করতে পারবে।
আরও একটি উদাহরনে দেওয়া যাক। যেমন নায়ক, গায়ক, এর সকলে ফ্রিল্যান্সার। যখন কাজ আছে তখন টাকা আছে কাজ নেই টাকা নেই।
যেমন একজন নায়ক বা গায়ক খুব বেশি ছবি বা গান গাওয়ার সুযোগ পায় বেশি যদি তার জনপ্রিয়তা বেশি হয়। এবং জনপ্রিয় স্টারদের কাজের অভাব হয় না।
ফ্রিল্যান্সিং এ কি কি কাজ করা যায়
ফ্রিল্যান্সিং কাজের কথা বলে শেষ করা যাবে না। হাজার হাজার কাজ আগে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট প্লেসে তার পরেও কিছু কাজের কথা তুলে ধরলাম।
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোতে দুই ভাবে কাজ হয়। এক ঘন্টা প্রতি হিসাব করে অন্যটি কন্ট্রাক ভিত্তিক। ঘন্টা প্রতি বলতে প্রতি ঘন্টা ১০ ডলার বা ১৫ ডলার বায়ারের কাজ করবেন। কন্ট্রাক ভিত্তিক বলতে বায়ার একটি নিদিষ্ট কাজের জন্য নিদিষ্ট অর্থ পেমেন্ট করবে।
ডাটা এন্ট্রি: অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং করতে চান ডাটা এন্ট্রি কাজের কথা জানেন না, এমন লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না। বিভিন্ন ধরনের ডাটা এন্ট্রি কাজ কাছে কিন্তু সব থেকে সহজ ভাষায় ডাটা এন্ট্রি কাজকে ব্যাখ্যা করলে দাঁড়াবে তথ্য সংগ্রহ করে কোন নিদিষ্ট স্থানে রাখা।
ধরুন আমি আপনাকে বললাম বাংলাদেশের ঢাকার মধ্যে যে সকল রেস্টুরেন্ট আছে তাদের ওয়েবসাইট গুলো একটি লিষ্ট তৈরি করে আমাকে প্রদান করুন। এবং এই কাজের বিনিময় আমি আপনাকে ১০ ডলার পেমেন্ট করব। এটাও এক ধরনের ডাটা এন্ট্রি কাজ।
অবশ্য আমাদের কিছু ভুল ধারনা আছে। আমরা অনেকেই মনে করি ডাটা এন্ট্রি বলতে টাইপিং করাকে বুঝায়, কিন্তু বিষয়টি একবারে সেই রকমটা নয়।
ডাটা এনালাইসিস: বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ যে কাজের চাহিদা বৃদ্ধি পাবে। একজন ডাটা এনালাইসিস একটি কোম্পানির ব্যাকবোন বলতে পারেন। ডাটা এনালাইসিসের কাজ হল একটি কোম্পানির সকল ধরনের কাজের প্রবৃদ্ধি ডিমোশন ইত্যাদির ডিপ চ্যাট তৈরি করা।
ওকে বিষয়টি আরও একটি পরিষ্কার করা যাক। ধরুন, আপনি একটি কোম্পানির ডাটা এনালাইসার। কোম্পানি নতুন একটি পণ্য বাজারে ছারার আগে তার উপর তথ্য সংগ্রহ করা শুরু করল। তথ্য গুলো পণ্য ভিত্তি হতে পারে আবার অন্য কিছু হতে পারে।
এবার সেই তথ্য গুলো কোম্পানি আপনাকে প্রদান করবে আপনি তথ্য গুলো নিদিষ্ট সফটওয়্যারের মাধ্যমে যাচাই বাচাই করে একটি নিদিষ্ট সিদ্ধান্ত কোম্পানিকে দিবেন।
Related Work
- Data Science
- Data Processing
- Data Visualization
- Databases
Graphic Design Work
Logo Design
Brand Style Guides
Game Art
Graphics for Streamers
Business Cards & Stationery
Illustration
Pattern
Packaging
Brochure
Poster
Signage
Flyer
উপরের উল্লখ্য করা কাজ গুলো ব্যতিত আরও হাজার হাজার কাজ আছে যার মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং কাজ কর অনলাইন থেকে আয় করা সম্বভ। আমি আপনাদের বুঝার সুবিধার জন্য নিচে আরও কয়েকটি কাজের কথা উল্লখ্য করলাম যেগুলো বর্তমান সময়ে খুবেই জনপ্রিয় এবং যে কাজ গুলো চাহিদা বেশি।
বর্তমানে যে সকল ফ্রিল্যান্সিং কাজের চাহিদা বেশি
প্রায় অনলাইন মার্কেটপ্লেস গুলো যে সকল কাজ সব থেকে বেশি পাওয়া যায় তার উপর ভিত্তি করে এই লিষ্টটি তৈরি করা হয়েছে। এর মানে এই নয় যে এর বাইরে অন্য সকল কাজের চাহিদা কম।
আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি যে কোন কাজে আপনি সঠিক ভাবে করতে পারলে এবং কাজের প্রতি অস্থা তৈরি হলে আপনার কাজের কোন অভাব হবে না।
যেমন একজন গায়ক জানে সে খুব ভালো গান করতে পারে এবং দর্শক তার গান পছন্দ করে। এই ক্ষেত্রে সেই গায়কের কাজ পাওয়াটা তত বেশি কঠিন হবে না।
কিন্তু আপনি গায়ক আপনার প্রতি আপানর যদি আস্থা না থাকে তাহলে আপনি কাজ পাবেন না। সুতরাং যে কোন প্রোফেশনে কাজ পাওয়ার জন্য নিজের উপর নিজের বিশ্বাস থাকাটা জরুরি।
যা হোক মেইন টপিক গুলো নিয়ে এবার কথা বলা যাক:
গ্রাফিক্স ডিজাইনার
প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে গ্রাফিক্স ডিজাইনারের চাহিদা আছে। কিন্ত বর্তমানে গ্রাফিক্স ডিজাইনারের চাহিদা উর্দ্ধ মুখী। এর অবশ্য একটি বড় কারন হল অনলাইন ভিত্তিক ব্যবসার প্রচার।
যে কোন অনলাইন শপের জন্য গ্রাফিক্স ডিজাইনার বাধ্যতা মূলক। শুধু অনলাইন শপ নয় যে কোন ধরনের করপোরের্ট অফিসে এক বা একাধিক গ্রাফিক্স ডিজাইনার দরকার আছে।
পণ্যের ডিজাইন, লোগো তৈরি, ব্যানার ডিজাইন, ৩ডি প্রেজেনটেশন সহ অনেক কাজের জন্য গ্রাফিক্স ডিজাইনার দরকার আছে। এই কারনে যে কোন মার্কেটপ্লেসে গ্রাফিক্স ডিজাইনারের চাহিদা বেশি।
শুধু গ্রাফিক্স ডিজাইনকে কেন্দ্র করে অনেক ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস তৈরি হয়েছে। যে মার্কেটপ্লেস গুলো শুধু গ্রাফিক্স ডিজাইনারের কাজ করা হয়।
ডিজিটাল মার্কেটিং
ডিজিটাল মার্কেটিং বর্তমান সময়ের সব থেকে চাহিদা সম্পূর্ণ কাজ। বর্তমান অনলাইন মার্কেটপ্লেসের ভেলু প্রায় ১৪৫ বিলিয়ম মার্কিন ডলার। শুধু ই-কমার্স মার্কেটপ্লেসের ভেলু বৃদ্ধি পেয়েছে ৫৭%, চিন্তা করা যায় যেখানে ২০২০ সালে এর ভেলু ছিল ৪৪%।
ছোট বড় যে কোন অনলাইন ভিত্তিক প্রতিষ্টান গুলোর রেভিনু নির্ভর করে ডিজিটাল মার্কেটিং করার উপর। যদি কোন কোম্পানির ডিজিটাল মার্কেটিং পরিকল্পনা সঠিক ভাবে করতে না পারে তাহলে কখনো অনলাইনে ব্যবসায় সফল হওয়া সম্ভব নয়।
ডিজিটাল মার্কেটিং এই বিষয়টা একটি বিভাগ এর মধ্যে অনেক গুলো সাবজেট রয়েছে।
যেমন, এসএমএস মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং, পিপিসি মার্কেটিং, ভিডিও মার্কেটিং, সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, এসইও সহ আরও অনেক বিষয় এর সাথে জড়িত।
এই সেক্টরে কাজের চাহিদা দিন দিন শুধু বৃদ্ধি পাবে।
ওয়েব সিকিউরিটি
আমরা অফলাইনে কোন ব্যবসা প্রতিষ্টানের সিকিউরিটি জন্য দুই চার জন গার্ড, সিসি টিভি ক্যামেরা সহ অনেক ধরনের সর্তকাতা অবলম্বন করি। কারন, একটাই আমাদের প্রতিষ্টানের যেন কোন ধরনের ক্ষয় ক্ষতি না হয়।
ঠিক একই ভাবে প্রতিটি অনলাইন ভিত্তিক ব্যবসা প্রতিষ্টানের সিকিউরিটি নজর রাখার জন্য বিভিন্ন ধরনের এক্সপার্ট হায়ার করা হয়। যাদের কাজ হচ্ছে ওয়েবসাইটে ক্ষতির জন্য করা বিভিন্ন ধরনের কাজকে ডিফেন্ড করা।
ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট
আপনি একটি ওয়েবসাইট যে কোন থিম দিয়ে একদিনের মধ্যে কাস্টমাইজ করতে পারেন। এটা খুবেই সাধারন একটি বিষয়। কিন্তু একটি ওয়েবসাইটে যখন নতুন কোন অপশন বা ফিচার যুক্ত করতে চাইবেন তার জন্য আপনাকে একজন ওয়েব ডেভেলোপর লাগবে।
হ্যাঁ, অনেক সময় ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটের জন্য বিভিন্ন ধরনের টুল ব্যবহার করে ডিজাইন কাস্টমাইজ করা যায় কিন্তু সেটার ও একটি নিদিষ্ট সীমাবদ্ধতা আছে।
তাই, যে কোন ওয়েবসাইটকে ব্যবসার প্রয়োজনে নতুন কোন ফিচার এড করার জন্য ওয়েবসাইট ডিজাইন এবং ডেভলোপমেন্টের দরকার হয়।
এখন আপনি চিন্তা করুন পৃথিবীতে ওয়েব ভিত্তি প্রতিষ্টানের সংখ্যা কি ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই বৃদ্ধি অনুসারে এই কাজের চাহিদা কেমন হতে পারে।
ভিডিও এডিটর
যে কোন সার্ভিসকে সুন্দার ভাবে প্রেজেন্টটেশন করার জন্য ভিডিও করার কোন বিকল্প নেই। প্রায় প্রতিটি সার্ভিস রিলেটেড ওয়েবসাইটের হোম পেজে আপনি ভিডিও প্রেজেন্টটেশন দেখতে পাবেন।
শুধু ওয়েবসাইট কেন বিভিন্ন ধরনের ছোট ছোট ইউটিউব বিজ্ঞাপন এডিট করার জন্য ভিডিও এডিটর দরকার হয়। আর একটি বিষয় যে ভাবে দিন দিন ইউটিউব ইন্ডাস্ট্রি বৃদ্ধি পাচ্ছে সেই ক্ষেত্রে প্রায় প্রতিটি গ্রামে গ্রামে দুই চার জন করে ভিডিও এডিটর দরকার হবে।
এবং ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্ম গুলোর দিকে লক্ষ রাখলে দেখবেন হাজার হাজার ভিডিও এডিটিং এর কাজ আছে। আপনি চাইলে Fiverr গিয়ে ভিডিও এডিটরের প্রোফাইল গুলো চেক করতে পারেন। ভালো মানের প্রত্যেকটি ভিডিও এডিটিরের কাজ আছে।
ফ্রিল্যান্সিং করার সহজ কাজ
ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য সহজ কাজ বলতে কোন কিছু হয় না। একজন বায়ার অর্থের বিনিময়ে আপনার কাছ থেকে কাজ করে নিবে সুতরাং তিনি সব থেকে ভালো মানের কাজটি নিতে চাইবেন এটাই স্বাভাবিক।
আরও একটি বিষয় জড়িত আছে এই ক্ষেত্রে। যত বেশি সহজ কাজ হবে তত বেশি প্রতিযোগিতা হবে। কঠিন ফ্রিল্যান্সিং কাজের মধ্যে প্রতিযোগিতা কম।
কিছু কিছু কাজ আছে যার মূল্যায়ন হয় জানার উপর। আপনি কত টুকু জানেন তার উপর ভিত্তি করে আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারের সূচনা হবে।
আপনার ভালো মানের কাজ জানা থাকলে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোতে আপনার কাজের অভাব হবে না। সুতরাং চেষ্টা করবেন যে কাজেই শিখুন না কেন তার গভীরে যেতে।
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কাজ করার সময় কখনো লোভি হওয়া যাবে না। কখনো সাধ্যের বাইরে কথা দেওয়া যাবে না। আপনি যত টুকু পারবেন ঠিক তত টুকু কমিটমেন্ট করবেন।
ফ্রিল্যান্সিং সাইটের কাজ কি ব্যাখ্যা কর
ফ্রিল্যান্সিং সাইট গুলোর কাজ হল বায়ার এবং ফ্রিল্যান্সারদের মাঝে সংযোগ স্থাপন করা। একটা উদাহরন দেওয়া যাক, একটি নিদিষ্ট বাজারের নিদিষ্ট কিছু স্থানে বিভিন্ন ধরনের মার্কেট গড়ে উঠে। যেমন মাছ হাটি, সবজি হাটি, মাংস হাটি, ইত্যাদি। এর কারন হল যাতে গ্রহক খুব সহজে তাদের প্রয়োজনীয় পণ্য গুলো ক্রয় করতে পারে।
এবং বাজারে যারা পন্য বিক্রয় করে তাদের বাজার মালিকে কিছু অর্থ দিতে হয়। ঠিক একই ভাবে প্রতিটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট প্লেস এক একটি বাজার যেখানে ডিজাইনার, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর, প্রোগ্রামার, থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের ওয়ার্কার পাওয়া যায়। এখানে বায়ার তাদের কাজ অনুযায়ি ওয়ার্কার হায়ার করে থাকে।
বায়ার যখন ওয়ার্কারকে কাজ প্রদান করে তখন সেই ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কিছু অতিরিক্ত অর্থ পেমেন্ট করতে হয়। আবার ওয়ার্কার ইনকাম করলে তার একটি নিদিষ্ট অর্থ মার্কেট প্লেসে প্রদান করতে হয়।
ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য কোনটির প্রয়োজন
যদি বাস্তব ক্ষেত্র বিবেচনা করা যায় তাহলে ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য একটি ল্যাপটপ বা কম্পিউটার দরকার। কিন্তু আমি বিষয়টাকে একটু ভিন্ন ভাবে সাজিয়ে বলতে চাই।
ফ্রিল্যান্সিং কাজ শেখা: ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট গুলোতে কাজ করতে আসার আগে ভালো ভাবে কাজ শিখে নেওয়া জরুরি। আপনি সঠিক দক্ষতা নিয়ে মার্কেট গুলোতে কাজ করতে আসলে সফল হওয়ার সম্ভবনা বেশি।
কম দক্ষতা বা মাধ্যমিক মানের কাজ জান মানুষের এই সেক্টরে বেশি দিন টিকে থাকতে পারবে না। এই বিষয়টি যত তাড়াতাড়ি বুঝতে পারবেন তত বেশি ভালো।
ফ্রিল্যান্সিং করার সময় যে বিষয় গুলো আরও বেশি খেয়ার রাখতে হবে। সে গুলো হল কাজ ডেলিভারি সময় কোন ধরনের বাক্য ব্যবহার করা, কাজ অনুযায়ি ডেলিভারির সময় কাজের পিন পয়েন্ট গুলো মার্ক করা, কাজ গ্রহন করার সময় কোন কোন কাজ গুলো আপনাকে করতে হবে বা কোন কোন কাজ গুলো করা দরকার তার লিষ্ট তৈরি করে বায়ারকে প্রদান করা।
তার মানে আমি বোঝাতে চাচ্ছি বায়ারের কাছে আপনাকে নিট এন্ড ক্লিন থাকতে হবে। কোন ভাবেই বায়ার যেন আপনার কাজ বা কাজের মান দেখে কষ্ট না পান।
অনেক বায়ার আছে যারা মুখে আপনাকে কিছু বলবে না কিন্তু মন খারাপ করবে। সুতরাং এই বিষয় গুলো আপনাকে নজরে আনতে হবে।
সততার সাথে কাজ করা: আমি ব্যক্তিগত ভাবে অনেক ফ্রিল্যান্সারদের জানি যারা ফ্রিল্যান্সিং জীবনের শুরুতে অনেক অর্থ আয় করেছে কিন্তু একটি নিদিষ্ট সময় যাওয়ার পর একবারে জিরো হয়ে গেছে।
মাসের পর মাস চলে যায় কিন্তু তারা কাজ পায় না। এর কারন একটাই সেটা হল সততা। কোন বায়ার যদি কখনো আপনার প্রোফাইল নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোতে অভিযোগ করে তাহলে আপনার ক্যারিয়ার শেষ।
সততা বলতে আমি কি বোঝাতে চাচ্ছি। সততা বলতে আপনি যে কাজ গুলো করবেন বা যে কাজ গুলো বায়ার আপনাকে দিবে সেই কাজ গুলো সততার সহিত সমাপ্ত করা। এবং বায়ারের চাহিদা অনুযায়ি কাজের ডেলিভারি দেওয়া।
যেমন আপনি একজন পিপিসি মার্কের্টের। আপনি বায়ারের একটি পণ্য বিক্রয় করার কাজ নিলেন। এবং আপনি বায়ারকে বললেন যে, মার্কেটিং শুরুর প্রথম থেকেই আপনি অনেক ছেল নিয়ে আসবেন।
কিন্তু বাস্তরে সেই রকম কোন কিছু হল না। এই ক্ষেত্রে বায়ার বিষয়টিকে ভালো ভাবে গ্রহন করবে না। আপনি কখনো ওভার প্রমিজ করবেন না।
ধৈর্য্য: ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট গুলোতে কাজ পাওয়া নির্ভর করে আপনার ধৈর্য্যের উপর। আপনি আজ প্রোফাইল তৈরি করে কালকে থেকে কাজ পাবেন এটা আশা করা সঠিক নয়।
লেগে থাকতে হবে ১ মাস, ২ মাস, ৩ মাস, ৪ মাস দেন আপনি কাজ পাওয়ার আসা করতে পারেন। এই ১ থেকে ৪ মাস পর্যন্ত আপনাকে ট্রাই করতেই হবে। আপনি ৪ মাস রেগুলার ট্রাই করলে যে কোন বায়ার আপনার কথায় রাজি হয়ে কাজ দিয়ে দিতে পারে।
শুধু এটাই বলার আছে ধৈর্য্য সহকারে লেগে থাকলে আপনার সফলতা আসবেই। সুতরাং ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য তিনটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে এক, একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ লাগবে, দুই সততার সাথে কাজ করতে হবে, তিন ধৈর্য্য ধারন করতে হবে।
Click the above button to visit next page