MYBdBlog

Online Earning, Blogging, Digital Marketing

কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখবো

আপনি এই প্রশ্নটির উত্তর খুঁজছেন কারন আপনি ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চান। কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখব এই প্রশ্নটির আগে আপনাকে বাছাই করতে হবে আপনি কোন ধরনের ফ্রিল্যান্সিং কাজ শিখতে চান। তাই আমার প্রথম সাজেশন হচ্ছে প্রথমে সিলেক্ট করুন আপনি কোন ধরনের ফ্রিল্যান্সিং কাজ শিখবেন তার পর কিভাবে শিখবেন সেই মাধ্যমটি ঠিক করুন।

মনে রাখবেন ফ্রিল্যান্সিং কোন জাদুর কাঠি নয় । আজ বা কালকের মধ্যে শিখে যাবেন এবং আগামী কাল থেকে আয় করবেন । এর জন্য প্রচুর ধৈর্য্য দরকার ।

কোন কাজটি ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য ভালো হবে সেই বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের আর্টিকেল পড়তে পারেন। তার সাথে আপনি Google Trends ব্যবহার করে দেখতে পারেন কোন কাজটির চাহিদা বর্তমানে সব থেকে বেশি।

যা হোক আসল আলোচনায় আসা যাক। ফ্রিল্যান্সিং শেখার উপায় গুলো কি কি হতে পারে। যদি আপনি নিজেও জানেন কিভাবে শিখবেন তার পরেও আমি কিছু সাজেশন দিয়ে রাখি যাতে করে আপনার সুবিধা হয়।

ফ্রিল্যান্সিং শেখার ফ্রি মাধ্যম

ইউটিউবঃ ফ্রিল্যান্সিার হওয়ার জন্য ইউটিউব একটি ভালো মাধ্যম হতে পারে। তবে পূর্বের কথা আবার বলব যে বিষয় নির্বাচন করুন আপনি কি বিষয় ফ্রিল্যান্সিং শিখবেন। বিষয় নির্বাচন হয়ে গেলে ইউটিউব সার্চ করুন সেই বিষয়ের উপর টিউটোরিয়াল।

যেমন আপনি এসইও শিখতে চান সেই ক্ষেত্রে সার্চ করুন স্টেপ বাই স্টেপ এসইও টিউটোরিয়াল। অথবা এসইও শেখার টিউটোরিয়াল এবার ৪ থেকে ৫ টি চ্যানেল নোট করুন। চ্যানেল গুলো নোট করা শেষ হলে শেখা শুরু করুন।

কোন ভিডিওটি দেখছেন সেটাও নোট করে রাখুন কোন কোন বিষয় শিখলেন সেই বিষয় গুলো নোট করুন।

এমন হতে পারে আলোচনার মধ্যে একটি বিষয় আপনি বুঝতে পারেন নাই। অথবা সেই বিষয়টি নিয়ে ভিডিওতে তেমন কিছু বলা নেই। এবার সেই টপিকটার উপর ইউটিউবে সার্চ করুন এবং শিখুন।

পিডিএফঃ অনলাইন যে কোন বিষয় আপনি পিডিএফ লিখে সার্চ করলে পিডিএফ ফাইল পাবেন। আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে চাচ্ছেন এর জন্য আপনার পিডিএফ ফাইল দরকার।

গুগলে গিলে সার্চ করুন ডিজিটাল মার্কেটিং পিডিএফ কোর্স দেখবে অনেক গুলো পিডিএফ ওয়েবসাইট চলে আসবে এবার সেই পিডিএফ ফাইল ‍ডাউনলোড করে নিন। আপনি চাইলে ফাইল গুলো প্রিন্ট করে নিতে পারেন।

সকল ধরনের পিডিএফ ডাউনলোড করার দরকার নেই। যে সকল পিডিএফ প্রয়োজনীয় শুধু সেগুলো ডাউনলোড করুন। সব থেকে ভালো হয় সিলেবাস তৈরি করে নিতে পারলে। সিলেবাস বলতে চ্যাপ্টার বা চ্যাপ্টার।

যেমন আমরা যখন কোন বই পড়ি তখন চ্যাপ্টার বাই চ্যাপ্টার আলোচনা করা থাকে ঠিক তেমন। আপনি যে বিষয়টি শিখতে চাচ্ছেন সেটি অধ্যায় ভিত্তিক ভাগ করে নিলে ভালো হয়।

ব্লগঃ বিষয় ভিত্তিক ব্লগ এখন পাওয়া যায়। আগে তত বেশি পাওয়া যেত না। কিন্তু এখন বিষয় ভিত্তিক ব্লগ পাওয়া যায়। যেমন আপনি এমন একটি ব্লগ খুজে বের করুন যেখানে শুধু সেই বিষয় বা তার রিলেটেড বিষয় গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

যেমন আপনি ফেসবুক মার্কেটিং শিখতে চান। তাহলে আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে এমন একটি ব্লগ যেখানে ফেসবুক মার্কেটিং বিষয় বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

সঠিক পরিকল্পনা ছারা কোন কিছু শেখা সম্ভব নয় ।

ফ্রিল্যান্সিং শেখার অনলাইন কোর্স

গুগলে সার্চ করলে হাজার হাজার ওয়েবসাইট পাবেন যারা পেইড কোর্স বিক্রয় করে থাকে। বর্তমানে বাংলাদেশেও অনেক ধরনের প্রতিষ্টান তৈরি হয়েছে যারা পেইড কোর্স বিক্রয় করে থাকে।

আমি ব্যক্তিগত ভাবে কোন ধরনের অনলাইন কোর্সকে সাপোর্ট করি না। দেখুন যার যার অভিমত তার কাছে। আমার ভালো লাগে না বলে আপনার ভালো লাগবেনা এমন কোন কথা নেই। আপনি ট্রাই করে দেখতে পারেন আপনার ভালো লাগতে পারে।

বাংলাদেশে অনেক প্রতিষ্টান আছে যার খুব কম টাকা খরচ করে অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং কোর্স করায়। এখন প্রশ্ন হলে আমি কোন অনলাইন কোর্স সাপোর্ট করি না। এর কিছু কারন আছে নাম্বার ওয়ান এরা অনেক ধরনের আশা দিয়ে থাকে যার ৭০% থেকে ৮০% ভুয়া। সকল প্রতিষ্টান নয় কিন্তু ৯০% বেশি প্রতিষ্টান প্রায় এমন।

অনলাইন কোর্সের সমস্যা সমাধানের তেমন একটি সুযোগ নেই বললেই চলে। অনলাইন ক্লাশ কিছুটা লেকচারের মত। যার ৯০% মনে থাকে ১০% মনে থাকে। তবে হ্যাঁ আপনাকে সেই প্রতিষ্টান যদি ক্লাশের রেকর্ড করা ভিডিও প্রদান করে থাকে সেই ক্ষেত্রে ঠিক আছে।

কারন আপনার যে কোন একটি বিষয় মনে না থাকলে পরর্বতীতে সেই ভিডিও দেখে বিষয়টি যেন ক্লিয়ার হতে পারেন। আপনি ইংরেজিতে মাধ্যমিক লেভেলের দক্ষতা থাকলে Udemy থেকে কোর্স করতে পারেন।

ফ্রিল্যান্সিং শেখার অফলাইন কোর্স

ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য এর থেকে ভালো মাধ্যমে হতে পারে না। আপনি কোন প্রতিষ্টারেন সাথে যুক্ত হয়ে সারাসরি ক্লাশে অংশ গ্রহণ করার মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং শিখবেন সেটা খুবেই ভালো একটি বিষয়।

কারন আপনি যখন অফলাইনে ক্লাশ করবেন তখন বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সমাধান করতে পারনে। অফলাইনে ফ্রিল্যান্সিং শেখার আর একটি ভালো দিক হল প্রাকটিক্যাল করা যায়।

আপনাকে যে বিষয়টা শেখানো হল সেই বিষয়টির প্রাকটিক্যাল করানো হবে। যেমন আপনাকে শেখানো হল আপনি কিভাবে ফেসবুকের এড একাউন্ট তৈরি করেবন। সেই ক্ষেত্রে আপনাকে শেখানোর সাথে সাথে বলা হবে একটি করে ফেসবুক এড একাউন্ট তৈরি করে দেখান।

অফলাইনের আরও একটি সুবিধা হল আপনি কাজ করতে করতে কোথাও আটকে গেলেন সেই ক্ষেত্রে ট্রেইনার আপনাকে সহযোগিতা করবে সেই সমস্যাটি সমাধানের জন্য।

এমনও হতে পারে আপনাকে একটি লাইফ পেজেক্টে কাজ করতে দেওয়া হল। অথবা বায়ারের সাথে কাজের জন্য কথা বলতে বলা হল। তার মানে বিষয়টি দাঁড়ালো আপনি পরিপূর্ন তৈরি হতে পারবেন অফলাইন কোর্স করার মাধ্যমে।

আরও একটি ভালো বিষয় হল। অফলাইনে কোর্স করার কারনে ট্রেইনারের সাথে আপনার একটি সুসম্পর্ক তৈরি হবে। এর কারনে আপনি তাদের কাছে সহযোগিতা পাবেন। আপনি নিজে যখন ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবেন তখন কোন ধরনের সমস্যার মধ্যে পড়লে তাদেরকে বলতে পারবেন।

শেষ কথা

আমি আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। আমি একজন প্রফেশনাল এসইও ওয়ার্কার। আমি কাজ করতে গিয়ে যত কিছু শিখছি তার ৫০% আমি কোর্স করে শিখতে পারি নাই।

আরও একটি বিষয় আমি কোন প্রতিষ্টানের কাছে থেকে কখনো ফ্রিল্যান্সিং শিখি নাই। হ্যাঁ কয়েকটি ওয়েবসাইট থেকে ভিডিও কোর্স ক্রয় করেছিল। যা আমাকে প্রাথমিক ধারনা ছার কিছু শেখাতে পারে নাই।

সুতরাং আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চান এর জন্য সব থেকে ভালো অপশন হল আপনি নিজে। আপনার জানার আগ্রহের উপর নির্ভর করবে আপনি কতটুকা শিখতে চান। আপনি যত বেশি বিষয়টাতে জড়িয়ে যাবেন তত বেশি শিখতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং শেখার পর মার্কেটিপ্লেসে টিকে থাকার জন্য অনেক কিছু শিখতে হবে। আপনি যদি না জানেন মার্কেট প্লেসে কিভাবে নিজেকে টিকিয়ে রাখবেন? তাহলে একটা সময় পর আপনি কাজ পেতে পেতে কাজ পাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে।

ফ্রিল্যান্সিং পেশায় নিজেকে আপডেট রাখাটা জরুরি। নিজেকে আপডেট রাখার জন্য রেগুলার বই পড়া, ওয়ার্ক রিলেটেড নিউজ দেখা, তথ্য সংগ্রহ করা, ভিডিও দেখা, কাজ রিলেটেড কোর্স ক্রয় করা ইত্যাদি বিষয় গুলো মাধ্যমে আপনি নিজেকে যত বেশি আপডেট রাখতে পারবেন তত বেশি সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারবেন।

Click the above button to visit next page

This div height required for enabling the sticky sidebar