মোবাইল ডাটা এন্ট্রি এবং টাইপিং কাজের টিউটোরিয়াল
সবাই চায় অনলাইন থেকে আয় করতে আমি কিছু মোবাইল ডাটা এন্ট্রি এবং সহজ ফ্রিল্যান্সিং কাজের ওয়েবসাইট নিয়ে কথা। আশা করছি আপনার ভালো লাগবে।
আমি যে ওয়েবসাইট এবং কাজ নিয়ে কথা বলব তার কাজ গুলো আপনি মোবাইল দিয়ে করতে পারবেন।
আপনি সঠিক ভাবে ডাটা এন্ট্রির কাজ করতে পারলে প্রতি মাসে ২০০ থেকে ৩০০ ডলার পর্যন্ত আয় হবে।
ব্লগিং থেকে টাকা আয় করতে চাইলে এখান থেকে ঘুরে আসতে পারেন
কিন্তু সমস্যা হল ডাটা এন্ট্রি কাজের ক্ষেত্রে সব থেকে বেশি স্পাম হয়। সুতরাং কাজ শুরু করার আগে সেই ওয়েবসাইট নিয়ে রিসার্স করতে হবে। সঠিক তথ্য নিয়ে কাজ করলে আপনার মূন্যবান সময় নষ্ট হবে না।
ডাটা এন্ট্রি এবং টাইপিং কাজ কি?
ডাটা এন্ট্রি কাজের এত বেশি প্রকার ভেদ আছে যা বলে শেষ করা যাবে না। তার পরে ও আমি কিছু কাজ নিয়ে আজকে আলোচনা করব।
ডাটা অর্থ তথ্য এবং এন্ট্রি মানে বসানো, প্রবেশ করানো, ইত্যাদি। তাহলে ডাটা এন্ট্রি পরিপূর্ণ মানে হল তথ্য প্রবেশ করানো অথবা তথ্য সংগ্রহ করে নিদিষ্ট স্থানে স্থাপন করা।
সাধারন মোবাইল ডাটা এন্ট্রি বা টাইপিং কাজ গুলো করার জন্য বায়ার আপনাকে নির্দশনা দিবে। সেই হিসাবে আপনাকে কাজ করতে হবে।
বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং ওয়ার্ক
ডাটা এন্ট্রি কাজের জন্য কোমন যোগ্যতা থাকা দরকার
ডাটা এন্ট্রি কাজ জানার জন্য কোন ধরনের যোগ্যতা থাকার দরকার হয় না। বায়ারের ভাষা বোঝার জন্য ইংরেজি জানতে হবে। কারন বায়ার যখন আপনার সাথে কথা বলবে তখন কিন্তু ইংরেজিতে বলবে।
বায়ার আপনাকে কি ধরনের নির্দশনা দিচ্ছে তা বুঝতে হবে এবং রিপ্লে করতে হবে। সুতরাং এতটুকু ইংরেজি আপনাকে জানতে হবে ফ্রিল্যান্সিং জগতে কাজ করতে হলে।
সাধারন ইংরেজি শেখার জন্য ইউটিউব ভিডিও দেখতে পারেন। অথবা ইংরেজি সাব টাইটেল আছে এমন নাটক, মুভি, কাটুন, ইত্যাদি দেখে শিখতে পারেন।
মোট কথা মাধ্যমিক অথবা প্রাথমিক পর্যায়ের ইংরেজি আপনাকে জানতে হবে।
ডাটা এন্ট্রি অথবা টাইপিং কাজের পেমেন্ট
নির্ভর করে আপনি কোন ধরনের কাজ করছেন তার উপর। ধরুন আপনাকে কপি পোষ্ট করার একটি কাজ দেওয়া হল। মানে এক স্থানের তথ্য গুলো অন্য স্থানে কপি করে পোষ্ট করা মাত্র।
এখন আপনি বলুন এই কাজের জন্য আপনাকে সব্বোচ্চ কথা টাকা পর্যন্ত পেমেন্ট করতে পারে।
সাধারনত মোবাইল ডাটা কপি পোষ্ট করার কাজের জন্য ঘন্টা প্রতি ৫ ডলার পর্যন্ত পেমেন্ট করে থাকে।
আবার এমন কিছু ডাটা এন্ট্রি কাজ আছে যার জন্য ঘন্টা প্রতি ২০ থেকে ৩০ ডলার পর্যন্ত পে করা হয়ে থাকে।
বর্তমানে জনপ্রিয় ডাটা এন্ট্রি কাজের লিষ্ট তুলে ধরা হল
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং মাকের্ট প্লেসের চাহিদা অনুযায়ি মোবাইল ডাটা এন্ট্রি কাজের লিষ্ট তুলে ধরা হল। আশা করছি সম্পূর্ণ বিষয়টা বুঝতে পারবেন।
কাজের সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার সাথে সাথে আপনি বুঝতে পারবেন কিভাবে কাজ গুলো করতে হয়। প্রতিটি বিষয় বিস্তারিত বুঝতে পারবেন।
এই লেখাটি পড়া শেষ করার পর সম্পূর্ণ বিষয়টা নিয়ে পরিপূর্ণ ধারনা হবে। এবং আপনি সরাসরি মাকের্ট প্লেস থেকে কাজ করতে পারবেন।
তাহলে চলুন শুরু করা যাক…
সাধারনত দুই ধরনের ডাটা এন্ট্রি হয়ে থাকে এক অনলাইন ডাটা এন্ট্রি অন্যটি অফলাইন ডাটা এন্ট্রি। যদিও সময়ের সাথে সাথে অফলাইনে ডাটা এন্ট্রি কাজের চাহিদা কমে আসতেছে তার পরেও নাই বললে ভুল হবে।
এখন প্রচুর অফলাইন ডাটা এন্ট্রি কাজের চাহিদা আছে।
বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট
অনলাইন ডাটা এন্ট্রি কি?
অনলাইনে তথ্য এন্ট্রি করার কাজ গুলো কে অনলাইন ডাটা এন্ট্রি বলা হয়। একটি উদাহরন দিয়ে বিষয়টা ক্লিয়ার করা যাক, ধরুন আমি আপনাকে কিছু তথ্য দিলাম এবং বললাম এই তথ্য গুলো একটি নিদিষ্ট ওয়েবসাইটে গিয়ে আপলোড করতে বললাম।
কিভাবে আপলোড করতে সেই বিষয় পরিপূর্ণ ধারনা দিয়ে দিলাম। এই ধরনের কাজ গুলো কে সাধারনত অনলাইন ডাটা এন্ট্রি কাজ বলে।
অফলাইন ডাটা এন্ট্রি কি?
যে সকল ডাটা এন্ট্রি কাজ মাইক্রো সফটওয়্যার, এক্সোল ইত্যাদি মাধ্যমে করে ক্লাইন্টকে দেওয়া হয় সেই সকল কাজকে আপনি অফলাইন ডাটা এন্ট্রি কাজ কলতে পারেন।
একটা উদাহরন দেওয়া যাকঃ আপনি আমাকে কিছু তথ্য দিলেন, যা এলোমেলো। এখন এই এলোমেলো তথ্য গুলো থেকে, নিদিষ্ট কিছু তথ্য সংগ্রহ করে এক্সেল সীটে এন্ট্রি করতে বললেন।
এই যে ডাটা গুলো আপনি অফলাইনে এন্ট্রি করতে বললেন, এই কারনে আমরা কাজটি কে অফলাইন ডাটা এন্ট্রি কাজ বলতে পারি।
মোবাইলে গেম খেলে টাকা আয় করার উপায়
ডাটা Scraping
Scraping অর্থ বাদ দেওয়া এবং ডাটা মানে তথ্য। তাহলে সম্পূর্ণ বিষয়টা দাঁড়ালো তথ্য বাদ দেওয়া।
অনেক দিনের পুরানো তথ্য যা এখন প্রয়োজন নেই। কিন্তু সেই একই তথ্য ভান্ডার থেকে কিছু কিছু তথ্য এখনো জরুরি।
সুতরাং আপনার কাজটা হবে নিদিষ্ট তথ্য গুলো রেখে দেওয়া বাকি তথ্য গুরো বাদ দেওয়া।
একটা উদাহরন দেওয়া যাকঃ আপনার একটি কোম্পানি আছে যে খানে কয়েক লক্ষ মানুষ কাজ করে। এবং আপনার কাছে হাজার হাজার ইনফরমেশন আছে যেখান থেকে অনেক জন কাজ করে অবার অনেক জন কাজ করে না।
আপনার কাছে বর্তমান কাজ করে এমন কর্মীর লিষ্ট আছে। আপনি চাচ্ছেন বর্তমান কর্মীর ইনফরমেশন গুলো রাখতে বাকি গুলো বাদ দিতে চাচ্ছেন। সেই ক্ষেত্রে আপনার বর্তমান কর্মী লিষ্ট দেখে তথ্য গুলো রাখা হল এবং বাকি গুলো বাদ দিয়ে দেওয়া হল।
আশা করছি বিষয়টা সম্পূর্ণ ভাবে বুঝতে পেরেছেন।
ডাটা রিসার্স
বর্তমান সময়ের তুমুল জনপ্রিয় একটি কাজ। অনেক ধরনের ডাটা রিসার্স করার কাজ হয়ে থাকে। আমি বেশ কয়েকটা উদাহরন দিয়ে বিষয়টা বোঝানোর চেষ্টা করব।
আমার একটি ই-কমার্স সাইট আছে। এবং গ্রাহক আমার ওয়েবসাইটে এসে যে অর্ডার করেছে তার লিষ্ট আছে।
লিষ্টের মধ্যে গ্রাহকের নিদিষ্ট কিছু তথ্য আছে। এখন আমি চাচ্ছিলাম জানতে কোন ধরনের পণ্যের অর্ডার বেশি হয়েছে ২০২০ সালে তা বের করতে এবং আমি আরও জানতে চাচ্ছি কোন ধরনের গ্রাহক সেই পণ্য গুলো অর্ডার করেছে, তাদের বয়স কত, ইত্যাদি।
এখন সেই ডাটা গুলো থেকে আপনাকে নিদিষ্ট তথ্য গুলো খুজে বের করতে হবে।
অন্য একটি উদাহরন দেওয়া যাকঃ বায়ার বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা বিষয় কিছু তথ্য জানতে চাই যেমন, জেলার শিক্ষার হার, মোট জনসংখ্যা, দারিদ্র্য, বাল্য বিবাহের হার, ইত্যাদি।
বায়ারের দেওয়া নির্দশনা অনুযায়ি আপনাকে তথ্য গুলো সংগ্রহ করে জমা দিতে হবে।
ফ্রিল্যান্সিং সাইটে কি ধরনের কাজ পাওয়া যায়
ডাটা Mining
অনেক গুলো তথ্য থেকে বেঁচে বেঁচে কত গুলো তথ্য সংগ্রহ করা কাজ করতে হয় Data Mining । ডাটা Mining কাজ করা হয় ডাটা সাইন্স, ডাটা পরিসংখ্যান, ডাটা ম্যানেজম্যান্ট, ইত্যাদি কাজের জন্য। Data Mining খুবেই গুরুত্ব পূর্ণ কাজ গুলো মধ্যে একটি।
প্রাইমারি ডাটা এন্ট্রি
প্রাথমিক ভাবে কোন তথ্য সংগ্রহ করাকে প্রাইমারি ডাটা এন্ট্রি কাজ বলা হয়। প্রাইমারি ডাটা এন্ট্রি কাজের জন্য একজন ফ্রিল্যান্সারকে অনেক দিনের জন্য হায়ার করা হয়।
সাধারনত যে কোন কাজের প্রাইমারি ডাটা অনেক বেশি হয়ে থাকে। একই সাথে প্রাইমারি ডাটা এন্ট্রি করার কাজটি জটিল হয়ে থাকে। কারন প্রতিটি তথ্য আপনাকে সঠিক ভাবে এন্ট্রি করতে হবে।
সেকান্ডারি ডাটা এন্ট্রি
প্রাইমারি ডাটা এন্ট্রি কাজের সেকেন্ড স্টেপ সেকান্ডারি ডাটা দ্বিতীয় কাজ। প্রাইমারি ডাটা থেকে নিদিষ্ট তথ্য গুলোকে ভিন্ন ভাবে সংগ্রহ করাকে সেকেন্ডারি ডাটা এন্ট্রি কাজ বলে। প্রাইমারি ডাটা এন্ট্রি কাজের জন্য নতুন ফ্রিল্যান্সাদের হায়ার কারা হলেও দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজের জন্য অভিজ্ঞ ফ্রিল্যান্সাদের হায়ার করা হয়।
ডাটা Conversion
ডাটা Conversion হচ্ছে কোন তথ্য বা ডকুমেন্টকে এক ফরমেট থেকে অন্য ফরমেটে তৈরি করা। আপনি Data Conversion করার জন্য যে সকল কাজ পেতে পারেন। পিডিএস থেকে এক্সেল, ওয়ার্ড থেকে পিডিএফ, ভয়েস থেকে ওয়ার্ড, ইত্যাদি।
স্কান করা কপি থেকে ডাটা এন্ট্রি
আপনাকে কিছু স্কান করা কপি দেওয়া হবে। আপনাকে সেই সকল কপি থেকে নিদিষ্ট তথ্য কোন নিদিষ্ট প্লেসে ইনপুট করতে হবে।
ধরুন, বায়ার আপনাকে কিছু ছাত্র/ছাত্রীর ইনফরমেশন দিলাম, যা স্কান কপি। এখন আপনাকে সেই স্কান করা কপি গুলো থেকে নিদিষ্ট কিছু তথ্য সংগ্রহ করতে হবে, যা আপনাকে বায়ার বলে দিবে। বিশেষ করে সফটওয়্যার কোম্পনি গুলো এমন ধরনের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর বেশি হায়ার করে থাকে।
কপি পোষ্ট ডাটা এন্ট্রি
কপি পোষ্ট ডাটা এন্ট্রি কাজ খুবেই সহজ। দেখা গেল আপনাকে কিছু পিডিএফ পোষ্ট দেওয়া হল যার লেখা গুলো কপি করে ওয়াডে অথবা অন্য কোন ফরমেটে পোষ্ট করতে বলতে পারে।
অথবা এমন হতে একটি নিদিষ্ট ওয়েবসাইটের তথ্য কপি করে কোন বায়ারকে প্রদান করতে হবে। অনেক ধরনের কপি পোষ্টের কাজ পাওয়া যায়।
তবে খুব সহজ কপি পোষ্টের কাজ। কারন আপনাকে যে কাজ করতে হবে তার জন্য বায়ার সম্পূর্ণ পরিকল্পনা দিয়ে দিবে, আপনাকে তা ফলো করে সম্পূর্ণ করতে হবে।
ওয়েব ২.০ ডাটা এন্ট্রি
ধরুন আমার একটি ওয়েবসাইট আছে। এখন আমি আমার ওয়েবসাইটে কিছু লেখা পাবলিশ করতে চাচ্ছি। আমার রেডিমেড লেখা আছে কিন্তু আমি চাই কোন একজন ডাটা এন্ট্রি অপারেটর আমার লেখা গুলো আমার ওয়েবসাইটে পাবলিশ করুক।
এখানে কিছু কথা আছে, আমি চাচ্ছি এমন একজন ডাটা এন্ট্রি অপারেটর যে জানে কিভাবে ওয়েবসাইটে কন্টেন্ট পাবলিশ করতে হয়।
কিভাবে H2, H3, H4 নির্নয় করতে হয়। যদিও আমি উল্লেখ করে দিব কোন কোন লাইন গুলো H2, H3, H4 হবে। তারপরেও আপনাকে কিন্তু জানতে হবে কিভাবে করতে হয়। আরও অনেক বিষয় আছে Web 2.0 ডাটা এন্ট্রি করার ক্ষেত্রে।
আবার এমন হতে পারে, আমি আমার ওয়েবসাইটের প্রতিটি পোষ্টে কিছু পোষ্টার এড করতে চাই। সে ক্ষেত্রে আপনাকে জানতে হবে কিভাবে পোষ্টার এড করতে হয়।
ইমেজ এডিটিং
ইমেজ এডিট কাজটি ডাটা এন্ট্রি কাজের মধ্যে না পরলেও মাঝে মাজে ইমেজ এডিটিং রিলেটেড ডাটা এন্ট্রি কাজ আছে।
একটা উদাহরন দেওয়া যাক, বায়ার আপনাকে কিছু ইমেজ প্রদান করল এবং আপনাকে নিদিষ্ট কিছু স্থান নির্নয় করতে বলা হল। বায়ার বলে দিবে কোন কোন স্থান গুলো নির্নয় করতে হবে।
ব্লগিং কি? কিভাবে ব্লগ থেকে টাকা আয় করা যায়
ইমেইল মার্কেটিং
নিদিষ্ট একটি লেখা, প্রফেশনাল কাজের জন্য ভিন্ন ভিন্ন ইমেইল অ্যাড্রেসে সেন্ড করতে হবে। Email Marketing করা তেমন কঠিন একটি কাজ নয়।
তার পরেও আপনাকে জানতে হবে কিভাবে প্রফেশনাল ইমেইল সেন্ড করতে হয়। আপনাকে ৫০০ ইমেইল সেন্ড করতে বলা হল। কিন্তু আপনি যদি না জানেন কিভাবে একই সাথে ২০টা থেকে ৩০টা ইমেইল সেন্ড করতে হয়।
এইচটিএমএল ডাটা এন্ট্রি
নিদিষ্ট কিছু ওয়েবসাইট থেকে HTML কোড কপি করে বায়ার কে প্রদান করতে হবে। অথবা এমন হতে পারে বায়ারের ওয়েবসাইটে নিদিষ্ট এইচটিএমএল কোড ইনপুট করা।
এইচটিএমএল কোড ইনপুট করার জন্য আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে কিভাবে ওয়েবসাইটের পেজে বা পোষ্টে কোড লিখতে হয়।
ডাটা এন্ট্রি কাজের ওয়েবসাইট লিষ্ট
আমি কিছু ওয়েবসাইট নিয়ে কথা বলব যেখান থেকে আপনি ডাটা এন্ট্রি কাজ পাবেন। উপরলে উল্লখ করা সকল ধরনের কাজ আপনি নিচের ওয়েবসাইট গুলো থেকে পাবেন।
সাথে সাথে আলোচনা করা হবে আপনি কিভাবে সেই সকল ওয়েবসাইটে কাজ পাবেন। এবং কিভাবে আপনাকে কাজ পাওয়ার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে।
কোন ধরনের গাইডলাইন ফলো করলে আপনি অবশ্যই পাবেন। সুতরাং চলুন সেই সকল ওয়েবসাইট নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক। বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় ডাটা এন্ট্রি কাজের সাইট গুলোর লিষ্ট।
Fiverr
বর্তমান সময়ের যত গুলো ফ্রিল্যান্সিং মাকের্ট প্লেস আছে তাদের মধ্যে থেকে জনপ্রিয় একটি ওয়েবসাইট Fiverr. একজন নতুন ফ্রিল্যান্সার সর্ব প্রথম কাজ জন্য Fiverr প্লাটফর্ম ব্যবহার করে।
Fiverr কি ধরনের ডাটা এন্ট্রি কাজ পাওয়া যায়? Fiverr সকল ধরনের ডাটা এন্ট্রি কাজ পাওয়া যায়। যদিও কাজের মূল্য তুলনা মূলক ভাবে কম। আপনি Fiverr কাজ করে প্রতি ঘন্টায় মিনিমাম ৫ ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।
Fiverr একাউন্ট ওপেন করার সাথে সাথে কি কাজ পাওয়া যায়? না Fiverr একাউন্ট ওপেন করার সাথে সাথে কাজ পাবেন না। কাজ পাওয়ার জন্য প্রফাইল ভালো ভাবে সাজাতে হবে। মাঝে মাঝে প্রফাইলের হেড লাইন পরির্বতন করতে হবে।
আমি Fiverr থেকে মাসে কত টাকা আয় করতে পারব? এই বিষয় নির্ভর করবে আপনি কত গুলো কাজ করবেন তার উপর। Fiverr থেকে অর্থ Payoneer একাউন্টে নিয়ে আসার জন্য মিনিমাম ২০ ডলার থাকতে হবে।
Seoclerk
SEO বিষয় কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকলে এই ওয়েবসাইটি আপনার জন্য। এই ওয়েবসাইটে সকল প্রকার এসইও ওয়ার্কার পাওয়া যায়।
অবশ্য আপনার এসইও বিষয় জ্ঞান না থাকলেও কাজ করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে আপনার একটি ওয়েবসাইট থাকতে হবে।
আপনার ওয়েবসাইটে গেষ্ট পোষ্টিং এবং ব্যাক লিংক তৈরি করার মাধ্যমে আয় করতে পারবেন।
ইমেইল এ্যাড্রেস দিয়ে সাইন আপ করে আপনার জয়েন কম্পিলিট করতে পারবেন। আপনার পছন্দমত গিগ তৈরি করে পাবলিশ করুন। অথবা বায়ার কে কাজের জন্য অফার দিতে পারবেন।
Ysense
Ysense থেকে অর্থ আয় করা খুবেই সহজ। ডাটা এন্ট্রি, সার্ভে, অ্যাফিলিয়েট ইত্যাদি কাজ করে আয় করা যায়।
যদিও এই ওয়েবসাইট থেকে আপনি খুব বেশি আয় করতে পারবেন না। তার পরেও কিছু টাকা আয় করা সম্ভব Ysense থেকে।
Ysense থেকে আয় করা টাকা সরাসরি আপনার ব্যাঙ্ক একাউন্টে নিয়ে আসতে পারবেন।
Ysense অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম আছে যার মাধ্যমে প্রতি রেফারে .১০ সেন্ট থেকে .৩০ সেন্ট পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।
Gigbucks
Gigbucks অনেকটা Fiverr ওয়েবসাইটের উপর। যে কোন দেশের নাগরিক গিগবাকে একাউন্টে খুলতে পারবে।
গিগবাকে ফেসবুক পেজ লাইক, ইন্সটাগ্রাম লাইক, ডাটা এন্ট্রি, ভিডিও পোষ্ট, ফেসবুক পোষ্ট বুষ্ট, ইত্যাদি কাজ পাওয়া যায় Gigbucks Website.
Gigbucks ওয়েবসাইটে প্রতিটি কাজ ৫ ডলার থেকে শুরু হয়। পেমেন্ট অপশনে পেওনার আছে, সুতরাং আপনি আপনার আয় কৃত অর্থ খুব সহজে ব্যাঙ্ক একাউন্টে নিয়ে আসতে পারবেন।
বাংলাদেশে ডাটা এন্ট্রি বা টাইপিং জব
বাংলাদেশে ডাটা এন্ট্রি বা টাইপিং জব বলতে আমার যা বুঝি তাহল কোন কিছু টাইপ করা বা লেখা। কিন্তু উপরের লেখা গুলো পড়ে অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন ডাটা এন্ট্রি কাজের পরিধি কত বড়।
উপরে উল্লেখ্য কৃত সকল ধরনের ডাটা টাইপিং কাজ জানা থাকলে আপনাকে চাকরি খুজতে হবে না। যে ৪ টি মাকের্টি প্লেসের উল্লখ্য আমি করেছি সেখান থেকে প্রতিমাসে কয়েক হাজার ডলার আয় করতে পারবেন।
বাংলাদেশে ডাটা এন্ট্রি জব করতে চাইলে বিভিন্ন ধরনের ফ্রিল্যান্সিং প্রতিষ্টানের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। এই প্রতিষ্টান গুলো নিজের প্রয়োজনে ডাটা টাইপিং বা এন্ট্রি করার কাজ দিয়ে থাকে।
ডাটা এন্ট্রি চাকরি সহ প্রায় সকল ধরনের ছোট বা মাধ্যামিক লেভেলের কাজ খোঁজার জন্য কর্ম অ্যাপস ব্যবহার করতে পারেন। যার মাধ্যমে আপনি খুব সহজে ডাটা টাইপিং কাজ পেয়ে যাবেন।
ডাটা এন্ট্রি কাজ শিখুন বা শেখানো হয়
প্রায় ফেসবুকে বা ইউটিউবে এই ধরনের বিজ্ঞাপন দেখতে পাওয়া যায়। যেখানে লেখা থাকে ডাটা এন্ট্রি কাজ শিখুন এবং আউটসোর্সিং করে ঘরে বসে আয় করুন।
এই সকল ব্যক্তি গুলো দুধরনের হয়ে থাকে। এক স্বার্থপর দুই বাটপার। দেখুন মাকের্টপ্লেসে কাজের অভাব নেই আপনি যদি ভালো কাজ জানেন তাহলে প্রচুর কাজ পাবেন। সুতরাং ডাটা এন্ট্রি কাজের জন্য কয়েক লক্ষ ওয়ার্কার ফ্রিল্যান্সিং সাইট গুলোতে আসলে সমস্যা হবে না।
সুতরাং যে ব্যক্তি কাজ জানে সে যদি ইউটিউবের মাধ্যমে মানুষকে কাজ শেখায় তাহলে সমস্যা কোথায়। এরা প্রথমে নিজের একটা ফেসভেলু তৈরি করে তারপর বলে আমি আপনাকে কাজ শিখিয়ে দিব তার বিনিময়ে ৫০০০ হাজার বা ১০০০০ হাজার টাকা নিব। এবং এদের কাথার ফাঁদে পরে অনেক মানুষ কোর্স গুলোতে জয়েন করে এবং শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসে।
এটাই বাস্তবতা। সফল মানুষের সংখ্যা ১০% থেকে ২০% মাত্র। সুতরাং আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি কোন কাজ শেখার জন্য বর্তমান ডিজিটাল যুগে কারো কাছে যাওয়ার দরকার নেই। আপনার যদি পড়ার অভ্যাস থাকে তাহেলে আপনি কাজ শিখতে পারবেন।
আমি নিজে কিভাবে কাজ শিখি তার একটি প্রসেস তুলে ধরলাম?
আমি নতুন কোন বিষয় শেখার জন্য প্রথমে গুগল করি এবং সেই বিষয়টা নিয়ে বেসিক ধারনা নেওয়া শুরু করি। তারপর খাতা কলম নিয়ে বসে চিন্তা করি কোন কোন বিষয় গুলো আমাকে শিখতে হবে তার একটি নোট তৈরি করি। নোট করা শেষ হলে সোর্স ফাইল গুলো সংগ্রহ করা শুরু করি। যেমন পিডিএফ, ভিডিও লিং, কন্টেন্ট লিং ইত্যাদি।
যখন দেখি শেখার জন্য সকল সোর্স আমার সংগ্রহ হয়ে গেছে তখন তার একটি লিষ্ট তৈরি করি যে কোন বিষয়টি আগে শিখবো। এবার সেই লিষ্ট অনুসারে লেখা শুরু করি।
এবং প্রতিটি পর্ব শেষ করার পর প্রাকটিস করি। যেমন আপনি নিজ থেকে 200টি কানাডার রেষ্টুরেন্ট নাম এবং মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করলেন। এবং আপনি দেখলে আপনি খুব সহজে পারলেন তথ্য গুলো সংগ্রহ করতে। এই তথ্য সংগ্রহ করা এক ধরনের ডাটা এন্ট্রি কাজ। আপনি নিজে শিখে এই ভাবে প্রাকটিস করবেন দেখবেন খুব সহজে কাজগুলো আপনার আয়ত্তে চলে আসবে।
ডাটা এন্ট্রি পিডিএফ বই: আপনি গুগল সার্চ করে ডাটা এন্টি কাজ শেখা যায় এমন ওয়েবসাইট গুলো খুজে বের করুন এবং সেই ওয়েবসাইটের লিং গুলোকে পিডিএফ ফাইল তৈরি করে আপনার কাজে সংগ্রহ করুন। আপনি জানেন কোন ওয়েবসাইটের লেখাকে পিডিএফ তৈরি করা একধরনের ডাটা এন্ট্রি কাজ। কোন ওয়েবসাইটের লিংকে পিডিএফ ফরমেটে তৈরি করার জন্য অনলাইনে হাজার হাজার টুল পাবেন।
এই ক্ষেত্রে ইউটুউবে গিয়ে সার্চ করে দেখতে পারেন। ওয়েবসাইট ইউআরএল থেকে পিডিএফ ফাইল তৈরি ভালো টুল বা ওয়েবসাইট।
ডাটা এন্ট্রি কোর্স: ডাটা এন্ট্রি কোর্স করার কোন দরকার নেই। ডাটা এন্ট্রি কোর্স করে শুধু নিজের অর্থ নষ্ট করবেন। এই ধরনের কোর্স সাধারনত ইনফরমেশন প্রভাইড করে থাকে। যেমন এই টুল গুলো দিয়ে এই সকল কাজ করতে পারবেন এবং এই কাজটি এই ভাবে করতে হয়, ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু বিশ্বাস করেন প্রতিটি কাজ করতে গিয়ে আপনি নতুন নতুন সমস্যার সম্নূণ হবে যা আপনাকে নিজে সমাধান করতে হবে এবং সামনে এগিয়ে যেতে হবে।
বরং আপনি কোর্স না করে নিজ থেকে শিখলে বেশি কিছু শিখতে পারবেন। সতুরাং চেষ্টা করুন নিজ থেকে কোন কিছু শেখার। হ্যাঁ যদি কোর্স করতেই হয় তাহলে কোন ভিডিও কোর্স ক্রয় করে বেসিক ধারনা নিতে পারেন। যা আপনাকে কাজ গুলো শিখতে সহযোগিতা করবে। তার মনে কিন্তু এই নয় ৫০০০ হাজার বা ১০০০০ হাজার টাকা দিয়ে আপনি কোর্স করবেন।
ডাটা এন্ট্রি টিউটোরিয়াল: ইউটুবে হাজার হাজার ডাটা এন্ট্রি টিউটোরিয়াল পাবেন। যার মাধ্যমে আপনি খুব সহজে ডাটা এন্ট্রি কাজ গুলো শিখতে পারবেন। তারপরেও আমি আপনাকে একটি প্রশ্ন করি উত্তর দিন। আপনি যদি ডাটা এন্ট্রি বিষয় না জানেন তাহলে কিভাবে বুঝবেন কোন কোন টিউটোরিয়াল আপনাকে দেখতে হবে।
এই জানার জন্য লেখার প্রথম দিয়ে যে সকল কাজের কথা উল্লেখ্য করা হয়েছে তার লিষ্ট করুন। এবং গুগল বা ইউটুবে গিয়ে সার্চ করে কাজ গুলো শেখা শুরু করুন। এবং কাজ শেষে প্রাকটিস করুন।
আমি নিদিষ্ট করে বলব না যে আপনি এর টিউটোরিয়াল করেন। আপনি ইউটিউব গিয়ে সার্চ করুন যার টিউটোরিয়াল আপনার ভালো লাগবে তারটাই শেখা শুরু করুন।
File Source Cours Gratuit Download Data Entry PDF File
সবশেষে একটি কমন প্রশ্নের উত্তর দেওয়া যায়।
ভাই, ডাটা এন্ট্রি কাজ করে আমি কত টাকা আয় করতে পারব?
এই প্রশ্নটির দুই ধরনের উত্তর হবে। আপনি যদি কোন কোম্পানি ডাটা এন্ট্রি করার কাজ পান সেই ক্ষেত্রে ১৫,০০০ থেকে ২০,০০০ হাজার টাকা মাসে পাবেন। কোন কোন ক্ষেত্রে ৮,০০০ থেকে ১০,০০০ হাজার টাকা হতে পারে। এই আয় বা ইনকামটি আপনার জন্য ফিক্সড।
কিন্তু আপনি একজন ফ্রিল্যান্সির হয়ে বিভিন্ন মাকের্টি প্লেসে কাজ করলে এর থেকে বেশি বা কম দুই আয় করতে পারেন। কারন ফ্রিল্যান্সিং পেশায় কোন নিদিষ্ট বেতন হয় না। আপনি যেমন কাজ পাবেন তেমন আয় করতে পারবেন।
একটা উদাহরন দেওয়া যাক: আমি একটি ফ্রিল্যান্সিং মাকের্ট প্লেস থেকে ৩০ ডলারের কাজ পেলেন এবং কাজটি দুইদিনে শেষ করলে তার মানে আপনি দুই দিনে আয় করলেন প্রায় ২৫,০০ টাকা মত। এখন এর চার দিন আপনি কোন কাজ পেলেন না সেই ক্ষেত্রে আপনার কিছু করার নেই।
তারমানে মূল বিষয় টা হল আপনি ফ্রিল্যান্সিং মাকের্ট প্লেসে যেমন কাজ পাবেন তেমন আয় করতে পারবেন। কাজ না পেলে আয় করার কোন সুযোগ নেই।
আমি আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা যদি বলি তাহলে আমি বলব আমি কোন কোন মাসে ৫০,০০০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করছি আবার কোন মাসে ২৫০০ টাকা আয় করেছি। সুতরাং ফ্রিল্যান্সিং আয়ে কোন নিদিষ্ট সংখ্যা হয় না।
আশা করছি বিষয় গুলো বুঝতে পেরেছেন। ধন্যবাদ ভালো থাকবেন।
Click the above button to visit next page