১০টি সর্বাধিক অর্থ প্রদান করা ফ্রিল্যান্সিং কাজ ২০২০
গুরুত্বপূর্ণ ফ্রিল্যান্সিং কাজ গুলোর মধ্যে যে গুলো সব থেকে জনপ্রিয় সেই সকল কাজ নিয়ে আজকে আলোচনা করা হবে। আপনি যখন এই লেখাটা পড়ছেন তখন আপনি দুই ধরনের মানুষ হতে পারেন এক আপনি বর্তমান ফ্রিল্যান্সার নয়তো ফ্রিল্যান্সার হতে চান।
এখানে কিছু কথা না বললেই নয়। একই ধরনের কাজ একজন বেশি পয়েন্ট পায় আবার অন্য জন্য কম পেমেন্ট পায়। Fiverr লক্ষ করলে দেখবেন একজন কন্টেন্ট লেখক ১০০০ ওয়ার্ড এর জন্য ৫ ডলার পায়। আবার অন্য একজন কন্টেন্ট রাইটার একই লেখা লিখে ১০০ ডলার পায়।
এর একটাই কারন কোয়ালিটি এবং কোয়ালিটি। একজন কোয়ালিটি সম্পূর্ণ লেখক তার অভিজ্ঞতা এবং মেধার উপর ভিত্তি করে টাকা পায়।
৫ ডলার কাজের মান এবং ১০ ডলার কাজের মান ভিন্ন হবে এটাই স্বাভাবিক।
- সর্বাধিক অর্থ প্রদান করা ফ্রিল্যান্সিং কাজ গুলো
- ১. প্রোগামিং এন্ড সফটওয়্যার ডেভলোপমেন্ট ফ্রিল্যান্সিং কাজ
- ২. সোশ্যাল ভিডিও মার্কেটিং
- ৩. কন্টেন্ট মার্কেটিং এবং লেখক
- ৪. গ্রাফিক্স ডিজাইন
- ৫. কপি রাইটার
- ৬. ভিডিও এডিটর ফ্রিল্যান্সিং কাজ
- ৭. ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভলোপার
- ৮. এ. আই ( Artificial Intelligence )
- ৯. পি.আর ম্যানেজার
- ১০. সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার ফ্রিল্যান্সিং কাজ
সর্বাধিক অর্থ প্রদান করা ফ্রিল্যান্সিং কাজ গুলো
- প্রোগামিং এন্ড সফটওয়্যার ডেভলোপমেন্ট
- সোশ্যাল ভিডিও মার্কেটিং
- ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভলোপমেন্ট
- গ্রাফিক্স ডিজাইন
- কপিরাইটার
- ভিডিও এডিটর
- কন্টেন্ট মার্কেটিং এবং রাইটিং
- এআই ( Artificial Intelligence )
- পি.আর ম্যানেজার
- সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার
১. প্রোগামিং এন্ড সফটওয়্যার ডেভলোপমেন্ট ফ্রিল্যান্সিং কাজ
গড় আয়ঃ 200 হতে 300 ডলার প্রতি ঘন্টায়
একজন সফটওয়্যার ডেভলোপার প্রতি ঘন্টায় ১০০০ ডলারের মত আয় করে।
আপনি নতুন ডেভলোপার হলে এটা সম্ভব নয়, কিন্তু একজন অভিজ্ঞ ডেভলোপার ১০০০ ডলার প্রতি ঘন্ট আয় করতেই পারে।
প্রোগামিং কাজ বলতে মোবাইল অ্যাপ ডেভলোপমেন্ট, সফটওয়্যার ডেভলোপমেন্ট, ইত্যাদি কাজ বুঝায়।
আপনি যদি একজন ভালো সফটওয়্যার ডেভলোপার হতে চান তাহলে CodeAcadeemy or Udemy থেকে কোর্স করতে পারেন।
তবে এই ক্ষেত্রে আপনাকে কিছু ইনভেস্ট করতে হবে শেখার জন্য। আপনার যদি iOS and WebGL অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে প্রতি ঘন্টায় ১৫০ ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।
UpWork Survey থেকে জানা যায় একজন Bitcoin developers প্রতি ঘন্টায় ২০০ ডলার পর্যন্ত আয় করে থাকে।
অনলাইনে পোর্টফলিও তৈরি করার উপায়
২. সোশ্যাল ভিডিও মার্কেটিং
গড় আয়ঃ ৫০ হতে ১০০ ডলার প্রতি ঘন্টায়
সোশ্যাল ভিডিও মার্কেটিং একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্রিল্যান্সিং কাজ যার জনপ্রিয়তা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটে এই কাজের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে এর মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। একজন সোশ্যাল ভিডিও মার্কেটার প্রতি ঘন্টায় ৫০ হতে ১০০ ডলার পর্যন্ত আয় করে।
উপরে উল্লেখ করা তিনটি প্রফাইল আপ ওয়ার্ক থেকে নেওয়া। এই প্রফাইল গুলো লক্ষ করলে দেখবেন যে, এরা প্রতি ঘন্টায় ৫০ হতে ১০০ ডলার পর্যন্ত চার্জ নিয়ে থাকে ভিডিও মার্কেটিং কাজের জন্য।
আপ ওয়ার্ক এর Q2 রিপর্ট অনুযায়ি ভিডিও মার্কেটিং একটি উদয়মান ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার তৈরির জায়গা।
আপনি নিজেকে একজন ভিডিও মার্কেটার হিসাবে দেখতে চাইলে যে দক্ষতা গুলো থাকতে হবে।
সোস্যাল মিডিয়া ম্যানেজার জব করুন
- ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি
- ভিডিও এসইও
- নতুন ভিডিও তৈরির আইডিয়া
- এবং ভিডিও মার্কেটিং কৌশল
৩. কন্টেন্ট মার্কেটিং এবং লেখক
গড় আয়ঃ ৩০ হতে ৪০ ডলার প্রতি ঘন্টায়
ফ্রিল্যান্সিং কাজের মধ্যে সব চাইতে চাহিদা সম্পূর্ণ কাজ হল কন্টেন্ট মার্কেটিং এবং লেখার কাজ। একজন ভালো মানের কন্টেন্ট রাইটার প্রতিমাসে ৫০০ ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারে।
আপনি কন্টেন্ট রাইটার হতে চাইলে যে কাজ গুলো করতে হবে।
- লেখার অভ্যাস থাকতে হবে
- প্রচুর বই পড়া
- কন্টেন্ট রাইটিং কৌশল জানা
- এসইও
- কাস্টমার কনভার্ট করা জানতে হবে
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট প্রেস থেকে কন্টেন্ট রাইটিং এর কাজ পেতে চাইলে পোর্টফলিও থাকাটা জরুরি। কারন একটি পোর্টফলিও দিয়ে বায়ারকে আপনার কাজের গুরুত্ব বুঝাতে পারবেন।
৪. গ্রাফিক্স ডিজাইন
গড় আয়ঃ ৪০ হতে ১০০ ডলার প্রতি ঘন্টায়
গ্রাফিক্স ডিজাইন আপ ওয়ার্ক কাজের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে। এবং দিন দিন এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আপনি চাইলে একজন ভালো গ্রাফিক্স ডিজাইনার হয়ে ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন।
একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার প্রতি মাসে ৫০০ হতে ১০০ ডলার পর্যন্ত আয় করে থাকে। গ্রাফিক্স ডিজাইনার প্রকারভেদ
- Motion Designer
- Illustrator
- UX Designer
- Graphic Designer
- Product Designer
উপরে উল্লেখ করা কাজ গুলোর মধ্যে যে কোন একটি কাজ শিখে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট প্লেস থেকে আয় করতে পারেন।
৫. কপি রাইটার
গড় আয়ঃ ২৫ হতে ৭০ ডলার প্রতি ঘন্টা।
আমার একটি ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি আছে যার জন্য প্রতি মাসে ৫ হতে ১০ জনের কপি রাইটার দরকার হয়। শুধু একজন কপিরাইটার পারে আপনার পণ্য এবং সার্ভিসের সেল বৃদ্ধি করতে।
একজন কপি রাইটার প্রতি মাসে ৫০০ হতে ৭০০ ডলার আয় করতে পারে। আপনি কি একজন কপি রাইটার হতে চান? তবে Udemy থেকে দুই হতে চারটি কপি রাইটিং কোর্স করে নিতে পারেন।
কোর্স করার সাথে সাথে কপি রাইট চর্চা করতে হবে প্রতিদিন। যত বেশি চর্চা করবেন তত বেশি ভালো লিখতে পারবেন।
চর্চা করার জন্য ফ্রি ব্লগিং করতে পারেন, যে কোন বিষয়ের উপর।
৬. ভিডিও এডিটর ফ্রিল্যান্সিং কাজ
গড় আয়ঃ ৩০ হতে ৪০ ডলার প্রতি ঘন্টা
ভিডিও এডিটিং একটি ক্রিয়েটিভ কাজ এবং এই কাজের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। একজন ভিডিও এডিটর প্রতিদিন গড়ে ৩০ হতে ৪০ ডলার আয় করে।
যদিও ভিডিও এডিটিং এর জন্য অনেক টুল আছে তার পরেও এডিটরের চাহিদা অনেক। বর্তমানে কিছু এডিটিং সফটওয়্যার ব্যবহার করে ভিডিও এডিট করা যায়।
আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে কোন ভিডিও এডিটরের দরকার। বর্তমানে ইউটিউব, ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম মিডিয়া গ্রো আপ হচ্ছে এবং এর জন্য এডিটির দরকার। এটা কিন্তু একটিা বিশাল সুযোগ নিজেকে ফ্রিল্যান্সিং কাজের সাথে যুক্ত করা।
ভিডিও ব্লগিং শুরু করার বিস্তারিত বর্ননা
৭. ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভলোপার
গড় আয়ঃ ৪০ থেকে ৫০ ডলার প্রতি ঘন্টা।
বাংলাদেশের তথ্য গবেষণা কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ি বাংলাদেশে প্রতিদিন গড়ে ১০০ ওয়েবসাইট তৈরি হচ্ছে। সেই হিসাবে বাংলাদেশে ওয়েব ডিজাইনার নেই।
সুতরা আপনি যদি ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভলোপমেন্টে ক্যারিয়া তৈরি করতে চান তবে আমি বলব ওয়েলকাম।
একজন ওয়েব ডিজাইনার গড়ে প্রতি ঘন্টায় ৫০ হতে ১০০ ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারেন।
আপনি কোডিং না জেনে শুধু ওয়াড প্রেস ডেভলোপ করে প্রতি মাসে ৫০০ হতে ৭০০ ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।
কোন ধরনের কন্টেন্ট রাইটার বেশি আয় করে
৮. এ. আই ( Artificial Intelligence )
গড় আয়ঃ ৫০০ থেকে ১০০০ ডলার প্রতি মাসে।
বর্তমান সময়ের সব থেকে দামি কাজ। বিভিন্ন ধরনের ই-কমার্স ব্যবসার ক্ষেত্রে যার চাহিদা সীমাহীন। AI প্রযুক্তি ব্যবহার করে ড্রোন, রোবট ইত্যাদি তৈরি করা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এর চাহিদার শেষ নেই।
একটি উদাহরন দেওয়া যাক। আপনি আপনার ওয়েবসাইটে কাস্টমার ব্যবহার দেখার জন্য যেমন Googel Analytic ব্যবহার করেন। ঠিক সেই ভাবে AI প্রযুক্তির মাধ্যমে বিভিন্ন টেকনোলজি কোম্পানি তাদের কাস্টমার ব্যবহার বোঝার চেষ্টা করে।
উপরের গ্রাফে লক্ষ করে দেখুন ২০১৪ থেকে ২০২০ পর্যন্ত AI প্রযুক্তির চাহিদা কত টা বৃদ্ধি পেয়েছে। AI কাজের থেকে উন্নত মানের কাজ হচ্ছে DS কাজ।
ওয়েবসাইট এবং অ্যাপ রিভিউ করে আয় করার বিস্তারিত
৯. পি.আর ম্যানেজার
পাবলিক রিলেশনশিপ ম্যানেজার। বাজারে পণ্য নিয়ে আসার আগে একজন পি.আর সমস্ত বিষয় টি রিসার্স করে।
কখনো একই ধরনের পি.আর হয় না। বিভিন্ন কাজের জন্য ভিন্ন ভিন্ন পি.আর আছে। আপনি পি.আর হতে চাইলে যে কোন একটি বিষয় পছন্দ করতে পারেন।
একজন পি.আর প্রতি ঘন্টায় ৩০ হতে ৫০ ডলার পর্যন্ত আয় করে। কিছু কিছু পি.আর প্রতি মাসে এর থেকে বেশি ডলার আয় করে।
পি.আর আয় নির্ভর করে অভিজ্ঞতার উপর। আপনার অভিজ্ঞতা যত বেশি হবে তত বেশি আয় করতে পারবেন।
১০. সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার ফ্রিল্যান্সিং কাজ
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং একটি টপ লেভেলের কাজ ফ্রিল্যান্সিং প্লেসে। একজন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার প্রতি মাসে ৫০০ হতে ১০০০ ডলার পর্যন্ত আয় করে।
প্রতি দিন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটে যে সংখ্যাক সোশ্যাল মিডিয়া দরকার তার ৮০ পারসেন্ট শুধু পূরণ হয়। সুতরাং আপনি আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হিসাবে শুরু করতে পারেন।
সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হওয়ার জন্য যে কাজ গুলো জানা দরকারঃ
- ফেসবুক মার্কেটিং এ টু জেড
- ইন্সটাগ্রাম মার্কেটিং
- টুইটার মার্কেটিং
- গুগল মার্কেটিং
- ইউটিউব মার্কেটিং
সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারের কাজ কি এবং কোথায় শিখবেন?
আপনি ফ্রিতে Google Garage থেকে ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স করে সার্টিফিকেট নিতে পারেন।
জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং কাজ গুলো ভিডিও আকারে দেখুন
মার্কেটপ্লেসে কোন ধরনের ফ্রিল্যান্সিং কাজের চাহিদা বেশি
Click the above button to visit next page
You visited 1/10 pages